ব্লগ থেকে কি ধরণের আয় হয়। এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন পাই। তাই ভাবলাম, ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটা নিয়ে আপনার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করি।
Table of Contents
বর্তমানে, অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকামের অনেকগুলো উপায় আছে। ব্লগিং হলো তার মধ্যে অন্যতম একটি উপায়। ব্লগিং করে অনলাইন থেকে নিয়মিত আয় করা যায়। আমি নিজেই ব্লগিং করে নিয়মিত অনলাইন ইনকাম করছি।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়? ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা যায়। এবার, কথা হলো প্যাসিভ ইনকাম আবার কি? প্যাসিভ ইনকাম হলো একবার কাজ করলে সেই কাজ থেকে বার বার টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া। উদাহরণ, একজন শিল্পী একবার গান করেন সারা জীবন সেই গান থেকে অর্জিত টাকা ইনকাম করেন।
কেউ একবার একটি বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে টাকা ইনকাম করেন। লেখক একবার বই লিখেন। সেই বই যতোবার প্রকাশিত হবে ততোবার লেখক টাকা ইনকাম করবেন। এটাই হলো প্যাসিভ ইনকাম।
ব্লগ থেকেও প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। একবার একটি ব্লগ সাইট দাঁড় করাতে পারলে সেই ব্লগ সাইট থেকে নিয়মিত টাকা ইনকাম করা যায়। শুরু কিছু টাকা খরচ করতে হয়।
ব্লগ হলো এক ধরণের
ব্লগ হলো অনলাইন ভিত্তিকি এক ধরণের ক্ষুদ্র দিন-পঞ্জিকা। যেখানে ব্যক্তি তার জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাবলী লিখে রাখেন। যিনি ব্লগ লিখেন তাকে বলা হয় ব্লগার। বর্তমানে ব্লগিং ইন্ড্রাস্ট্রিতে পরিবর্তন এসেছে।
এখন, মানুষ কারো জীবনের ঘটনা জানতে অতো বেশি আগ্রহী নয়। তাই, কারো জীবনের ঘটা ঘটনাপ্রবাহ জানতে ব্লগ ভিজিট করেন না।
মানুষ এখন ব্লগ পেজ ভিজিট করেন তথ্য প্রাপ্তির আশায়। নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য গুগল সার্চ করে ব্লগের ল্যান্ডিং পেজে যায়। ব্লগ সাইট ভিজিট করেন।
ব্লগ তৈরির নিয়ম
ব্লগ তৈরির নিয়ম সুনিষ্ট কোনো নিয়মাবলী নেই। একই নিয়মে ব্লগ তৈরি করতে হবে এমন নয়। এটা অংক নয়। যে সূত্রের নিয়মে ব্লগ তৈরি করতে হবে।
ব্লগ তৈরি করা এখন খুব সহজ। ওয়ার্ড প্রেস, ব্লগার, উইবলিসহ আরো অনেক সিএমএস আছে। যেখানে ফ্রিতে ব্লগ সাইট তৈরি করা যায়।
ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য ব্লগার ডট কম সবথেকে ভালো। ব্লগারে সাইট তৈরি করার জন্য কোনো প্রকার হোস্টিং এর প্রয়োজন হয় না। ফ্রি থিম আছে। সাব-ডোমেইন দিয়ে ব্লগার তৈরি করতে পারবেন।
এভাবে ব্লগ সাইট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন না। ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ সাইট তৈরি করুন। এর জন্য কিছু টাকা খরচ হবে। ব্লগ সাইট টি সুন্দর হবে। একটি কাস্টম ডোমেইন হোস্টিং প্যাকেজ এবং একটি থিম প্রয়োজন হবে। সবগুলো কিনতে হবে। কিনলে অনেক সুবিধা পাবেন। দ্রুত ইনকাম যেতে পারবেন।
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি?
একটি ব্লগের মূল চালিকাশক্তি হলো কনটেন্ট। এবার, আসুন জানি কনটেন্ট কি? কনটেন্ট হলো ব্লগে যা কিছু আপলোড করা হয় তার সবটাই। যেমন একটি পোস্টে টেক্সট থাকে, ইমেজ থাকে, ভিডিও থাকে, গ্রাফিক্স থাকে, ইলিমেন্ট থেকে। এসব কিছু একসাথে কনটেন্ট বলে।
একটি ব্লগ সাইটের কনটেন্টের দম যতো বেশি সেই ব্লগ সাইট ততো ভালো। একজন ভিজিটর যখন কোনো ব্লগ সাইট ভিজিট করেন, তখন তিনি কিছুর আশায় ভিজিট করেন। তার উদেশ্য যদি সফল হয়। তাহলে, বুঝতে হবে আপনার সাইটের কনটেন্ট ভালো। এরকম ব্লগ সাইট থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
ব্লগার গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল প্রয়োজন
ব্লগ থেকে ইনকাম করার উপায়। কিভাবে একটি ব্লগ থেকে ইনকাম হয়? ব্লগ সাইটে থেকে ইনকাম করার উপায় হলো বিজ্ঞাপন। আপনার ব্লগে সাইটে বিজ্ঞাপন বসিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগ সাইটে যখন নিয়মিত ভিজিটর আসবে তখন গুগল এডসেন্স এর এডস বসানোর জন্য আবেদন করুন।
আবেদন এপ্রুভাল হলে ইমেইল করে জানিয়ে দিবে। তখন, আপনার ব্লগ সাইটে গুগলের এড বসিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। জেনে রাখা ভালো, গুগলছাড়া আরো অনেক কোম্পানি আছে। যাদের এডস বসিয়ে ইনকাম করা যায়।
যে কোম্পানির এডস বসাতে চান, তাদের এডস বসানোর জন্য আবেদন করুন। আবেদন এপ্রুভ হলে ব্লগ সাইটে এডস বসাতে পারবেন।
ব্লগ লিখে কি আয় করা যায়?
ব্লগ থেকে কতো টাকা আয় করা যায়? একটি উদাহরণ দিলে আপনি বুঝতে পারবেন- বাংলা ব্লগ পড়ে বাংলা ভাষায় কথা বলা জনগণ। বাংলাদেশী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। এর বাইরে সারা পৃথিবীতে অল্প সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষী আছেন। তারাও বাংলায় কথা বলেন। বাংলা ব্লগ পড়েন।
বেশিরভাগ উন্নত দেশে বাংলায় কেউ ব্লগ পড়ে না। তাই, বাংলা ব্লগে বসানো এড উন্নত দেশ থেকে দেখা হয় না। এড দেখা বাংলাদেশ থেকে।
আবার, বাংলাদেশের মানুষ এড-এ ক্লিক করে পণ্য কিনায় অভ্যস্ত নয়। এরা এডে ক্লিক করতে চায় না। ফলে বাংলাদেশে দেখানো এড থেকে বেশি টাকা ইনকাম হয় না। বাংলায় ব্লগ লিখে ইনকাম হয়। ইংরেজির তুলনায় অনেক কম ইনকাম হয়।
বাংলা ব্লগ থেকে আয়
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়? এই প্রশ্নটির সাথে বাংলা ব্লগ থেকে আয় করার উপায় প্রায় একই। আমরা যারা বাংলায় ব্লগ লিখি তারাই বলতে পারি বাংলা ব্লগ থেকে আয় করা যায় কিনা। বাংলা ব্লগ থেকে আয় করা যায়। নারীদের ঘরে বসে আয়ের উপায়।
ব্লগিং কিভাবে শিখব
ব্লগিং কিভাবে শিখব? ব্লগিং এর মূল চালিকাশক্তি হলো আর্টিকেল বা কনটেন্ট। তাই, ব্লগিং শিখতে হলে আগে আর্টিকেল লিখা শিখতে হবে। আর্টিকেল লিখা শিখতে হলে ব্লগ পোস্ট পড়তে হবে।
এরপর, নিজের মতো লিখার চেষ্টা করতে হবে। আর্টিকেল লিখতে পারলে, ব্লগিং শুরু করতে পারেন। প্রথমে শিখার জন্য গুগলের ব্লগার ডট কম গিয়ে ব্লগ তৈরি করুন।
সম্পূর্ণ ফ্রিতেই তৈরি করতে পারবেন। সাব-ডোমেইন দিয়ে ব্লগ তৈরি করুন। অতটা প্রফেশনাল লুক দিতে পারবেন না। খুব ভালো না করলে ইনকামও শুরু করতে পারবেন না। তবে, দুই-একজন যেন ফ্রি সাব-ডোমেইন দিয়ে ইনকাম করছে না তা কিন্ত নয়।
আরো ভালো করে জানতে হলে ব্লগ রিলেটেড টিউটোরিয়াল দেখুন। বই পড়ুন। আর, আমাদের ব্লগসাইট তো আছেই। আমাদের সাইটের সাথে থাকুন। পোস্ট পড়ুন। ব্লগ শিখতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে কি ব্লগিং করা যায়?
মোবাইল দিয়ে কি ব্লগিং করা যায়। আপনার মোবাইল দিয়েই ব্লগিং করতে পারবেন। মোবাইলে টাইপিং স্পিড ভালো থাকলে প্রতিদিন একটি করে পোস্ট লেখা সম্ভব। পাঁচশত শব্দের বেশি হলেই চলবে।
তবে, যে বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয়ের চাহিদার উপর নির্ভর করছে কতো শব্দের আর্টিকেল লিখবেন। বেশি বড় আর্টিকেল মোবাইল দিয়ে লিখা সমস্যা হয়। তাই, মোবাইল দিয়ে লিখতে হলে ছোট ছোট আর্টিকেল লিখতে হবে।
আর, ব্লগার ডট কমে গিয়ে সাইট ডিজাইন করতে পারবেন। খুব ব্যসিক স্তরের এগুলো। যেকেউ ব্লগার সাইট মোবাইল দিয়েই ডিজাইন করতে পারবেন।
পোস্ট আপলোড করা আরো সহজ কাজ। কনটেন্ট বা পোস্ট মোবাইল দিয়ে আপলোড করা যায়। এসব কাজ যখন মোবাইল দিয়ে করা যায় তখন বুঝতেই পারছেন, মোবাইল দিয়ে কি ব্লগিং করা যায়। প্রফেশনালি করতে চাইলে, ল্যাপটপ ডেক্সটপ ব্যবহার করুন। আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে।
উপসংহার
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়। আগেই বলেছি, ব্লগার প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা যায়। একবার কাজ করবেন, সেটার রেজাল্ট অনেকদিন ধরে পাবেন। এটাই হলো প্যাসিভ ইনকাম।
কিভাবে ব্লগ শুরু করবেন। মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় কিনা। ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে হলে কোনো পাবলিশার ব্যবহার করা উচিৎ। গুগল এডসেন্সের এপ্রুভাল না পেলেও ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো জানতে ভুলবেন না। পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবদা।
Eamon. Ok