আপনি কি জানেন, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়? শুধু প্যাকিং এর কাজ করেও একটি পরিবার খুব ভালোভাবে চলতে পারে। প্যাকিং বাড়িরর সবাই করতে পারে। সবারই কর্মসংস্থান হয়।
আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো প্যাকিং কি? কিভাবে প্যাকিং করে ইনকাম করা যায়? প্যাকিং করে মাসে কতো টাকা ইনকাম করা যায়? এসব প্রশ্নের উত্তর পাবেন। থাকবে, বিশ্লেষণধর্মী বিস্তারিত আলোচনা। তাই, কিছু সময়ের মনোযোগ দিয়ে পড়ুন পোস্টটি।
আমাদের সাইটে ইনকাম বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। অনলাইন ইনকাম। ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম। অনলাইন টিউশনি করে ইনকাম।
ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট। এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট। ফ্রি টাকা ইনকাম। এমন সব বিষয় নিয়ে আমরা লিখে থাকি।
Table of Contents
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ:
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ বলতে বুঝায়, ‘ঘরে বসে কোনো পণ্যের প্যাকিং বা মোকড়জাত করা’। অর্থাৎ পণ্য উৎপাদনের পরের ধাপ হলো প্যাকিং বা মোকড়জাত করা। পণ্যটি বাজারজাত করার আগে প্যাকিং করা হয়। পণ্য পরিবহণে যেন নষ্ঠ না হয়। যেন, অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য পণ্যের প্যাকিং করা হয়।
বড় বড় শিল্প কলকারখানয় স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে পণ্যের প্যাকিং করা হয়। শ্রমিকের হাতের স্পর্শ ছাড়াই পণ্যের প্যাকিং হয়ে যায়।
তবে, ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে পণ্যের প্যাকিং স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে করা সম্ভব হয় না। তারা পণ্য প্যাকিং করার জন্য বাহিরের মানুষের সাথে চুক্তি করে। তাদেরকে পণ্য দেয়। আরো বিস্তারিত জানতে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
প্যাকিং এর পেপার দেয়। কাজ বুঝায়ে দেয়। কাজ শেষে, টাকা দিয়ে প্যাকিং করা পণ্য ডেলিভারি নিয়ে আসে।
উদাহরণ: অমিত বাবু একটি মোমবাতির কারখানা দিয়েছেন। প্রতিদিন পরিমাণ মোমবাতি উৎপাদণ হচ্ছে, এতো মোমবাতি প্যাকিং করতে পারছেন না। এতো জনবল এবং সময় কোনোটাই তার নেই।
তাই, তিনি মোমবাতি প্যাকিং করার জন্য স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করেন। কয়েকজনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হোন। তারা ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে দিবে।
এমন অনেক ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প আছে। অনেক পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। আশেপাশে, অনেক মানুষ ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করছেন। নিয়মিত কাজ করায় ইনকামও অনেক পাচ্ছেন।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ সর্ম্পকে আরো বিস্তারিত জানতে, Shrabonbd dot com সাইটের এই পোস্টটি পড়ুন।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার শর্ত:
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার আবার শর্ত আছে নাকি? হ্যাঁ, শর্ত আছে। কারণ, একজনের পণ্যের প্যাকিং করবেন, তার কাছে কিছু দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকবে।
পণ্য প্যাকিংয়ে পাঠানোর আগেই অনেক টাকা তার খরচ হয়ে গেছে। আর পণ্যের প্যাকিংয়ের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
কথায় আছে, “First Impression is the best impression” অর্থাৎ “আগে দর্শনদারী তারপর গুনবিচারী”। তাই, পণ্যের প্যাকিং যেন ভালো হয় সেটা নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করার প্রধান শর্ত হলো সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে হবে। পণ্য প্যাকিংয়ের সময় পণ্য যেন নষ্ঠ না হয়। সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করতে হলে আপনার আশেপাশে উৎপাদিত পণ্য থাকতে হবে।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ শুরু করার আগেই জেনে নেয়া ভলো যে, এই কাজে ইনকাম কেমন। ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন, এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব না।
কারণ, কতো সময় কাজ করবেন। একা কাজ করবেন, নাকি বাড়ির সবাই একসাথে কাজ করবেন। কোন পণ্যের প্যাকিং কাজ করবেন। এসব কিছুর উপর নির্ভর করছে, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে মাসে কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা কাজ করলে, মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে, শুরুতে এতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে ইনকাম বাড়বে। কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়লে, কাজের অভাব হবে। বড় সুবিধা হলো ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করতে পারবেন।
কি কি পণ্য ঘরে বসে প্যাকিং করা যায়?
কি কি পণ্য ঘরে বসে প্যাকিং করা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে, পোস্টের এই অংশটি পড়ুন। আর কাজ করে আপনার সংসার চালাতে চান। আপনার জীবন চালাতে চান। ক্যারিয়ার গড়তে চান। সেই কাজ সর্ম্পকে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা করুন।
চোখ-কান খোলা রাখুন। আশেপাশে খোঁজ খবর করুন। নিজেই দেখতে পাবেন। কতো মানুষ ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে তাদের সংসারের ঘানি টানছে। ঘরে বসে ‘অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে‘।
তবে, আমি আপনাকে ধারণা দিচ্ছি কোন পণ্যগুলো প্যাকিংয়ের জন্য কারখানায় বাইরে পাঠানো হয়। সাধারণত, ক্ষুদ্র এবং কুঠির শিল্পে উৎপাদিত পণ্যসমূহ। প্যাকিং করানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের বাইরে পাঠানো হয়।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করা যায় এমন কিছু পণ্যের নাম নিচে দেয়া হলো আপনাদের সুবিধার জন্য যেমন;
- ঘরে বসে মোমবাতি প্যাকিং এর কাজ
- বই প্যাকিং এর কাজ
- কলম বা পেন প্যাকিং এর কাজ
- ধুপকাঠি প্যাকিং এর কাজ
- চার্জার লাইট প্যাকিং এর কাজ
- এ্লইডি লাইট প্যাকিং এর কাজ
- ডাউল প্যাকিং এর কাজ
- স্যান্ডেল প্যাকিং এর কাজ
- খাতা প্যাকিং এর কাজ
- কাপড় প্যাকিং এর কাজ
- মসলা প্যাকিং এর কাজ
- ব্রাশ প্যাকিং এর কাজ
- খেলনা প্যাকিং এর কাজ
- বিভিন্ন ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্যাকিং এর কাজ
- অনলাইন মার্কেটিং এর পণ্যের প্যাকিং এর কাজ
এছাড়াও আপনার এলাকায় উৎপাদিত যেসব প্যাকিং করানো হয়, সেসব পণ্য ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করতে পারেন। কাজ নেয়ার জন্য খোঁজ খবর রেখেন। কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করাবে এবং কোন পণ্যের প্যাকিং করাবে।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ কেন করবেন?
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করবেন কারণ হলো প্যাকিং এর কাজ করার জন্য আপনাকে ঘরের বাইরে যেতে হবে না। বাড়িতে বসে প্যাকিং এর কাজ করতে পারবেন। বাড়ির ছেলে, বুড়া, মহিলারা সবাই কাজ করতে পারবে।
বাড়ির কাজ শেষ করে, অবসর সময়ে তারা প্যাকিং এর কাজ করতে পারবে। আবার, প্যাকিং এর কাজের কাঁচামালসহ সব দেয়া হবে। কাজের নির্দেশনা, ডেলিভারি সময় জানিয়ে দেয়া হবে। তাই, আপনার প্যাকিং কাজ কেন করবেন না, তাই বুঝতে পারছিনা। কাজ করতে পারলে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম করা যায়।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজের সুবিধা:
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজের অনেক সুবিধা আছে। প্যাকিংয়ের কাজ শুরু করার আগে সুবিধাগুলো জানা দরকার। কারণ, সুবিধাগুলো জানা না থাকলে, কাজের প্রতি আগ্রহ আসবে না। কাজ শুরু করতে পারবেন না।
ঘরে বসে প্যাকিংয়ে সময়ের সুবিধা:
আপনি ঘরে বসে প্যাকিংয়ের কাজ করতে সময়ের সুবিধা পাবেন। ঘরে বসে কাজ করতে হয় বিধায় আসা-যাওয়ায় সময় নষ্ঠ হয় না। যেই সময় বেঁচে যাবে, সেই সময়ে অধিক কাজ করতে পারবেন।
গ্রামে থেকেও কাজ করা যায়:
গ্রামে বসে বা নিজ এলাকায় যেসব পণ্য উৎপাদন হয় সেই সব পণ্যের প্যাকিং করা যায়। এসব পণ্যের প্যাকিংয়ের কাজ গ্রামের বাড়িতে থেকেই করা যায়। ঘরে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
যেমন; সিলেট মৌলভিবাজার জেলায় চা পা উৎপাদন হয়। এই অঞ্চলে মানুষ ঘরে বসে চা পাতা প্যাকিং এর কাজ করতে পারবেন।
যেসব অঞ্চলে মসলা উৎপাদন হয়, সেসব অঞ্চলের মানুষ মসলা বাজারজাতকরণের জন্য প্যাকিং এর কাজ করতে পরেন। তাছাড়াও, চকলট প্যাকিং এর কাজ করা যা। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খেলনা প্যাকিং এর কাজ করা যায়।
প্যাকিং এর কাজের অসুবিধা:
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজের সুবিধার সাথে কিছু অসুবিধাও আছে। আসুন দেখি, কি কি অসুবিধা আছে। প্যাকিং এর কাজ স্থায়ী কোনো কাজ নয়। এই কাজ আজ আছে। আগামীকাল নাও থাকতে পারে।
যেহেতু, এই কাজ স্থায়ী কোনো কাজ নয়, সেহেতু এই কাজের উপর নির্ভরশীলতা ঠিক হবে না। প্যাকিং এর কাজকে পার্টটাইম হিসেবে নেয়াই হবে যুক্তিযুক্ত।
আবার বাড়িতে প্যাকিং এর কাজ করতে হবে। বাড়িতে অনেক জায়গার প্রয়োজন হবে। বাড়িতে বাচ্চাদের খেলাধুলার সমস্যা হবে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় সমস্যা হতে পারে।
তাই বলি, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ শুরু করার আগে সাত পাঁচ ভেবে নিবেন। কথায় আছে, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্যাকিং এর কাজ:
বর্তমানে দেশে প্রচুর ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান। এফ-কর্মাস প্রতিষ্ঠান আছে। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। প্রতিদিন শতশত কোটি টাকা পণ্য ক্রয় বিক্রয় হয়। এসব পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর আগে প্যাকিং করার প্রয়োজন হয়।
ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান, দারাজ, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট এরা নিজেরা প্যাকিং কাজ করার সময় পান না। তাই, প্যাকিং করার জন্য অন্যদের সাথে চুক্তি করেন। ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্যাকিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
উপসংহার:
পরিশেষে, আমরা এটা বলতে পারি যে, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটাকে পেশা হিসেবে নিতে চাইলে, আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াত হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলতে হবে।
কাজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সময়ানুবর্তীতা থাকতে হবে। ডেলিভারি টাইমের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। কারণ, পণ্য প্যাকিংয়ের সাথ পণ্যের বাজারজাতকরণের বিষয় জতিড়।
পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর না পেলে ইমেইল করুন। যোগাযোগ অংশে আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য ইমেইল আইডি দেয়া আছে। পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Amer Kono abhijok nai kintu praking kaj korte chi kivabe kibabi pabo aktu bolben please
Ami kivabe kajta kothai pabo aktu bolben pls Amer kob projon
টিউশনি।।বিউটি সেলুন।। ফ্রিল্যান্সিং।। হাতের কাজ
ধন্যবাদ
আসসালামু আলাইকুম। আমি কাজ রা করতে চাই কি ভাবে করবো। কি ভাবে কাজ পাবো। কি ভাবে কাজ আইনা দিবে ঘরে
আমি কাজটি করতে চাই প্লিজ
আমি কাজ করতে চাি
আমি কাজ করতে চাই আমার খুব প্রয়োজন কাজ টা
ধন্যবাদ আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য। ্কআমাদের দেখানো উপাযে খুঁজুন। আশাকরি দ্রুতই পেয়ে যাবেন।