শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা বিশদভাবে দিবো। তার আগে আমাদের জেনে রাখা ভালো শিক্ষার্থীদের ইনকামের ধরণে পরিবর্তন এসেছে। এখন শিক্ষার্থীরা শুধু নয়টা পাঁচটা চাকুরি করার জন্য পড়ালেখা করে না।
Table of Contents
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে?
এখন শিক্ষার্থীদের অনেক কিছু করার আছে। অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্নই থাকে উদ্যোগক্তা হওয়ার। তারা নিজেরা চাকুরি করবে না। চাকুরি দিবে। এমনই তাদের মানষিকতা। এভাবেই নিজেদের গড়ে তুলছে। আপনি চাইলেও আপনি পারবেন নিজেকে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে।
ছাত্রজীবন হলো জীবনের সোনালী সময়। এই কথটি শিক্ষার্থী বন্ধুরা ভুলে গেলে চলবে না এখনই জীবন গড়ার সময়। এই সময়ে ছোট ছোট পদক্ষেপ আপনার ভবিষ্যৎ জীবনকে বদলে দিবে।
এই সময়ে বসে শুয়ে কাটাবেন না। বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে গল্প আড্ডা দিয়ে পার করবেন না। নিজের স্কিল ডেভেলাপ করুন। অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। সেই সাথে টাকা ইনকাম করুন। ছাত্র অবস্থায় করা যায় এমন কাজ করুন। হাত খরচের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
৫টি সেরা উপায়ে শিক্ষার্থী অবস্থায় আয় করার পদ্ধিত
অনলাইনে টিউশনি
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি হলো সবথেকে ভালো উপায়। অনেকে টিউশনি করাচ্ছেন। তবে, অনেলাইনে টিউশনি করাচ্ছেন কতো জন। খুব বেশি হবে না। মোবাইল বা ল্যাপটপ সাথে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ করুন।
এবার, জুম অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে কানেক্ট হতে পারবেন। একসাথে অনেক শিক্ষার্থীর পাঠদান করতে পারবেন।
টিউশনি করানোকে প্রথম বলছি তার কারণ আছে। শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ সরকারি বেসরকারি চাকুরি করবেন। তাদেরকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। টিউশনি করালে আপনার দুর্বলতা বুঝতে পারবেন।
আপনার দুর্বলতা দূর করতে পারবেন। নিজেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে টিউশনির কোনো বিকল্প নেই।
ব্লগিং করে ইনকাম
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? শিক্ষার্থী অবস্থায় আয় করার পদ্ধিতর মধ্যে ব্লগিং অন্যতম। ব্লগিং হলো ক্ষুদ্র দিন পঞ্জিকা। প্রতিদিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাবলী লিপিব্ধ করার জায়গা হলো ব্লগ। যিনি ব্লগ লিখেন তাকে বলা হয় ব্লগার।
তবে, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্লগিং ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন কারো জীবনে ঘটা ঘটনাবলী পড়তে ব্লগে আসে না। মানুষ তথ্য প্রাপ্তির আশায় ব্লগে আসে।
তাই, ব্লগ থেকে ইনকাম করতে চাইলে, আপনাকে তথ্য-সমৃদ্ধ ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। ব্লগে যখন নিয়মিত ভিজিটর আসে তখন ব্লগ সাইটে এডস দেখিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
ব্লগে এড দেখানোর জন্য Google AdSense কেই সবাই পছন্দ করে। আপনার সাইটে গুগলের এডস দেখানোর জন্য গুগলের এডসেন্সে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর, মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন। আবেদন অনুমোদন হলেই ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
ফেসবুক মনিটাইজেশন
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আপনাদেরকে বলতে পারি ফেসবুক মনিটাইজেশন করান। ফেসবুক কনটেন্ট মনিটাইজেশন করানো একটু কঠিন। তবে, ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করা সহজ।
ফেসবুক স্টারস থেকে ইনকাম করার সুযোগ আছে। প্রফাইলে মাত্র পাঁচশত ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার থাকলেই স্টারস সেট-আপ করা যায়। স্টার হলো ফেসবুকের একটি ভার্চুয়াল গুডস। যা ফলোয়ার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
প্রতিটি স্টার এর জন্য এক সেন্ট করে পাবেন। এভাবে একশত স্টারস পেলে এক ডলার পাবেন। এগুলো বলা যায় ফলোয়ারদের ভালোবাসা।
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, ফেসবুক থেকে পার্টনারশিপ এডস এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ইনকামের সুযোগ আছে। সুযোগ আছে ফেসবুক বোনাসের মাধ্যমে ইনকামে।
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে- ফ্রিল্যান্সিং
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? এই প্রশ্নের তো একটি উত্তর হতে পারে না। একাধকি উত্তর হবে। এর মধ্যে একটি হলো ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং হলো গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় সকাল নয়টা পাঁচটার বাইরে গিয়ে ঘরে বসে দেশ বিদেশের প্রজেক্টে কাজ করে ডলার ইনকাম করার প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
এবার, কথা হলো ফ্রিল্যান্সিং কোনো কাজ নয়। বরং, কাজ করার একটি প্রক্রিয়া মাত্র। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনাদের কয়েকটি স্কিল অর্জন করতে হবে। যেমন, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন, লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয় স্কিল অর্জন করুন। তাহলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভালো করতে পারবেন।
কল সেন্টারে কাজ
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনাদের জন্য উপযুক্ত একটি পার্ট-টাইম কাজ হলো কল সেন্টারে কাজ করা। দেশের সব বড় বড় শহরে এই কল সেন্টারে কাজের সুযোগা আছে।
ঢাকা শহরে যারা আছেন তারা কল সেন্টারে কাজ করার সুযোগ বেশি পাবেন। কারণ, দেশের সব বড় বড় অফিস শিল্প প্রতিষ্ঠান হাতপাতাল সব ঢাকায়। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শিফটে কল সেন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়।
হাসপাতাল, মোবাইল সার্ভিস অপারেটরগুলোর তো রাতদিন সবসময় কলসেন্টার প্রতিনিধির প্রয়োজন হয়। এরা প্রতিষ্ঠান বেতন ভালোই দিয়ে থাকে।
জেনে রাখা ভালো কল সেন্টারে কাজ করতে হলে দিনে রাতে কাজ করতে হবে। আপনাকে শিফটিং করে কাজ করতে হবে। দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টায় তিন শিফটে কাজ করানো হয়। আপনাকে তিন শিফটেই কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
উপসংহার
শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে? এমন প্রশ্ন আপনার মরে আর থাকার কথা নয়। আমাদের দেখানো উপায় গুলোছাড়াও আরো অনেক উপায় আছে।
বাণিজ্য মেলায়, বইমেলায় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারেন। প্রুফ-রিডার হিসেবে শিক্ষার্থীদের করদ আছে। রির্সাচ সহকারী হিবেসে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
নিজেদের মতো করে একটি কোচিং সেন্টার চালাতে পারেন। ই-কর্মাস ব্যবসা করতে পারেন। ফুড ডেলেভারি করতে পারেন। এমন আরো অনেক কাজ আছে। আপনার উপযুক্ত এবং সময়ের সাথে যায় এমন একটি করুন।
1 thought on “শিক্ষার্থীরা কি কি উপায়ে আয় করতে পারে। অভিজ্ঞতাছাড়াই ইনকাম করার ৫টি সেরা উপায়!”