মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা সম্ভব? মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে কতো টাকা ইনকাম করা যায়। মনে রাখবেন, ইচ্ছা থাকলে, উপায় হয়। ডেক্সটপ ল্যাপটপ না থাকলে ফাইভারে কাজ করা যাবে না, এমন কথা কোথায় লিখা আছে নাকি? না লিখা নাই তো! তাহলে, মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করেতে বাধা কোথায়?
Table of Contents
বর্তমানের একটি মোবাইল একটি কম্পিউটার। একটি মোবাইলের দামে ডেক্সটপ হয়ে যায়। ল্যাপটপ কেনা যায়। মোবাইলে র্যাম রম প্রসেসর হাই-কোয়ালিটি সম্পূর্ণ। তাই, মোবাইলকে অবহেলা করার দিন শেষ। এখন, মোবাইল দিয়েই সব কাজ করা যাবে।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
ফাইবার একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে হাজার রকমের কাজ আছে। পৃথিবীর প্রায় সব থেকে কাজ করানো হয়। ছোট কাজ থেকে বড় কাজ সব করানো হয়। মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়। এমন কাজও করানো হয়। যেমন; স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার মতো কাজ। এসব কাজ আমরা মোবাইলে অ্যাপস ব্যবহার করে করতে বেশি পছন্দ করি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ। স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ। ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ। এসব করতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না। মোবাইল দিয়েই ভালোভাবে করা যায়।
এছাড়াও, মাই বিজনেস রিভিউ, ইমেইল মার্কেটিং। কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর কাজ। ভিডিও এডিটিং এর কাজ। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি এর কাজ। চ্যানেল ম্যানেজার এর কাজ। ক্যানভা প্রো ব্যবহার করে লোগো এডিট করার মতো কাজ।
মোবাইল দিয়ে সহজেই করা যায়। কী-ওয়ার্ড রির্সাস। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর কাজ। এরকম আরো প্রচুর কাজ আছে। যেসব কাজ সহজেই মোবাইলে করা যায়।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে ইনকাম শুরু করুন। অ্যাকাউন্ট গ্রো করুন। নিয়মিত কাজ করতে থাকুন। হাতে টাকা আসলে, ল্যাপটপ কিনে নিন।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে কতো টাকা ইনকাম করা যায়?
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করে কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটা আগে থেকে বলার উপায় নেই। কারণ, আপনি কোন কাজ করবেন তার উপর নির্ভর করছে। আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করছে। এছাড়াও, আপনার যোগাযোগ দক্ষতার উপর নির্ভর করে ইনকাম।
তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সাররা মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারে না। কারণ, ল্যাপটপ কম্পিউটারের তুলনায় কাজ করা একটু জটিল। মোবাইল দিয়ে বেশি কাজ করা যায না। এর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কম ইনকাম হয়।
শুরুতে, ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে হলেও কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। একজন বায়ার পেলে কাজের মাধ্যমে তাকে সন্তুষ্ঠু করতে হবে। তার পরবর্তী কাজ যেন আপনাকে দিয়েই করায়।
বায়ারের পরিচিত সবার কাছে যেন আপনার কাজের রেফারেন্স দেয়। তাহলে, তারাও আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে। এভাবে আপনার শুরুর যাত্রাটা স্মুথ হবে।
ফাইবার মার্কেটপ্লেস
ফাইবার মার্কেটপ্লেস। এট একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। ফাইবারে ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ার দুই শ্রেণীর মানুষ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। কেন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। বায়াররা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাজ করানোর জন্য।
ফ্রিল্যান্সাররা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাজ করার জন্য। মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলার প্রয়োজন। আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় ৭টি উপায়।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলা যায়?
অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলা যায়। ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না্। মোবাইল দিয়েই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি ইমেইল আইডি লাগবে। একটি মোবাইল নাম্বার লাগবে।
একটি সম্প্রতি তোলা ইমেজ লাগবে। আপনি যে কাজ শিখেছেন সেই ক্যাটাগরিতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। আগে কাজ শিখুন। তারপর, অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। নিজের নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন।
অ্যাকাউন্টের জন্য হাই-ভলিউম লো-কম্পিটিশনের কী-ওয়ার্ড যুক্ত করুন। গোছানো বর্ণনা লিখুন। অ্যাকাউন্টের প্রফাইল পিকচার যুক্ত করুন। লোগো সেট করুন।
Fiverr Gig
এবার, গিগ তৈরির করার পালা। যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করছেন। সেই বিষয়ে গিগ তৈরি করুন। যেহেতু আজকে আমরা মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ ব্লগপোস্ট লিখছি তাই, মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজ এর নাম উদাহরণ হিসেবে নিলাম। যেমন; ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং।
ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে একটি গিগ তৈরি করুন। গিগ মানে হলো ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং সর্ম্পকে বিস্তারিত উল্লেখ করুন। যেমন, একটি পেজের ফ্রি মার্কেটিং করে কি লাভ হয়। ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং করে পণ্যের প্রচার চালানো সম্ভব কিনা?
ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং করলে কি উপকার এবং ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং এর খরচ কতো হবে। কতো দিনের মধ্যে কাজটা ডেলিভারি দিবেন। ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং এ আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা।
Fiverr Gig Image Size
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে পারবেন কিনা; তার প্রথম পরীক্ষা হবে গিগ পাবলিশ করার সময়। ফাইবার গিগ পাবলিশ করার সময় ইমেজ যুক্ত করতে হয়। এই ইমেজ সঠিক সাইজের না হলে আপলোড হয় না।
আপলোড না হলে গিগ পাবলিশ হবে না।তাই, ইমেজ তৈরি করার সময় Fiverr Gig Image Size এর উপর নজর রাখতে হয়।
The best Fiverr Gig Image Size is 1280*769 pixels. আর মিনিমাম সাইজ যদি ব্যবহার করতে চান, তাহলে 712*430 pixels। আর, গিগে যদি সবথেকে বড় সাইজের ইমেজ ব্যবহার করতে চান তাহলে, এই সাইজের ইমেজ ব্যবহার করুন। 4000*2416 Pixels.
Fiverr Gig marketing
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করার জন্য Fiverr Gig marketing করার প্রয়োজন আছে? হ্যাঁ, অবশ্যই প্রয়োজন আছে। ফাইবার বক্সের মাধ্যমে গিগ মার্কেটিং করুন।
বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিন আপনার গিগ। বিশেষ করে লিংকডইনে মার্কেটিং করুন। কারণ, লিংকডইনকে বলা হয় বায়ারের খনি।
লিংকডইন হলো পৃথিবীর সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সিইওদের যুক্ত থাকার প্ল্যাটফর্ম। লিংকডইনের মাধ্যমে আপনি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের CEO দের ফলো করতে পারবেন। নিউজলেটার গুলো পড়তে পারবেন।
জানতে পারবেন কখন কোন জব পোস্ট করা হচ্ছে। মার্কটিং এর খুটিনাটি জানতে পারবনে। মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য এর থেকে ভালো উপায় নেই।
উপসংহার
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যায়। ফাইবারে কাজ করে ইনকাম করা যায়। মোবাইল দিয়ে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়। প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। ইচ্ছাশক্তি থাকলে, সবকিছু করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করতে থাকুন। শিখুতে থাকুন। বসে থাকবেন না। ল্যাপটপ কিনে কাজ করবেন। এই আশায় বসে বসে সময় কাটাবেন না। তাহলে, পিছিয়ে পড়বেন। লেগে থাকুন। সফলতা আসবেই।
মনে রাখবেন, সফলতা সবার জন্যই অপেক্ষা করছে। কারো কাছে পায়ে হেঁটে আসবে না। নিজেকে পরিশ্রম করে অর্জন করে নিতে হবে। আজকের মতো এই পর্যন্তই।
1 thought on “মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ পাওয়ার গোপন ট্রিকস!”