ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় ২০২৫

Spread the love

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় নিয়ে ভাবছেন? এবার, ভাবনা থামান। কাজ শুরু করুন। কাজ পারেন না? যেসব কাজ পারেন সেই সব কাজ দিয়েই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় জানলে, আহামরি কিছু করতে হয় না।

আজকে আমরা বলবো কিভাবে ফেসবুক থেকে সহজে আয় করা যায়। অনলাইন থেকে আয় করার অনেক উপায়ের মধ্যে ফেসবুক বেশি জনপ্রিয়। গতবছেরের মাঝামাঝি থেকে মার্ক জার্কারবাগের মার্কেটিং স্ট্রেটিজিতে বাজিমাত করেছে।

ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

ফেসবুক প্রফাইল থেকে আয় করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে মানুষ হুমরি খেয়ে কাজ শুরু করেছে। যারা ফেসবুকে মাসে একটি পোস্ট করতে তারা এখন দিনে একাধিক পোস্ট করে। ফেসবুকে প্রতিদিন নিয়ম করে রিলস পোস্ট করে। স্টোরি পোস্ট করে। ছবি পোস্ট করে। ভিডিও পোস্ট করে। টেক্সট পোস্ট করে। এসব পোস্ট করার কারণ হলো সব পোস্ট থেকে আয় করা যায়।

আজকের পোস্টে আমরা জানবো কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। কোন কাজ সহজ। নতুনদের কোন কাজ দিয়ে শুরু করা উচিৎ।

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় আপনাকে জানতে হবে। সঠিক উপায় না জেনে কাজ করে গেলে হবে না। ফেসবুক রিলস। বর্তমানে ফেসবুক রিলস থেকে সবথেকে বেশি টাকা আয় করা যায়। ফেসবুক রিলসে বেশি টাকা প্রদান করে।

ফেসবুল রিলস

রিলস কি সেটা বলার প্রয়োজন নেই। তবে, যাদের ধারণা কম, তাদের জন্য একটু ধারণা দিতে হয়। এক মিনিট পঁচিশ সেকেন্ডের ছোট ভিডিও হলো রিলস ভিডিও। এছাড়াও, রিলস ভিডিও তৈরি করতে হলে, ভিডিওটিকে ভার্টিকেল অ্যাঙ্গেলে ধারণ করতে হবে।

পনের সেকেন্ডের ছোট ভিভিওকেও রিলস ভিডিও বলে। তবে, পনের সেকেন্ডের ছোট রিলস ভিডিও মনিটাইজেশন করাতে পারবেন না। মানে আয় করতে পারবেন না। এমন নয়। আয় করতে পারবেন। তবে এড অন রিলস চালু করতে পারবেন না।

তাহলে, পনের সেকেন্ডের ছোট ভিডিও থেকে কিভাবে আয় হবে? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। এসব ছোট ভিডিও ভাইরাল হলে প্রচুর ভিউ পাবেন। অনেক ফলোয়ার আসবে। ফেসবুক স্টার থেকে আয় হবে। এছাড়াও, ফেসবুক বোনাস নামে আরেকটি ফিচার আছে। সেই বোনাস থেকে আয় করতে কাজে আসবে। তাই, শুরুতে ছোট ছোট ভিডিও ধারণ করুন। এবং শেয়ার করুন।

ফেসবুক কনটেন্ট মনিটাইজেশন

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় হলো কনটেন্ট মনিটাইজেশন। ফেসবুক কনটেন্ট মনিটাইজেশন হলো লং ফরমেটের ভিডিওকে থেকে আয় করার উপায়। একটা সয়ম পর্যন্ত ফেসবুক থেকে শুধু কনটেন্ট মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করা যেতে। এখন কনটেন্ট মনিটাইজেশন সবথেকে কঠিন।

একটি প্রফাইল বা ফেসবুক পেজের কনটেন্ট মনিটাইজেশন অন করাতে পারলে, সেই ফেসবুক প্রফাইল বা পেজের অন্যসবগুলো মনিটাইজেশন ফিচার চালু হয়ে যায়।

কিভাবে কনটেন্ট মনিটাইজেশন চালু করতে হয়?

ফেসবুক প্রফাইল বা পেজে নিয়মিত লং ফরমেটের ভিডিও শেয়ার করতে হয়। ভিডিওগুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। ভিডিওগুলো নিজের হতে হবে। কারো ভিডিও কপি করা যাবে না। যেসব দেশে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি চালু আছে এমন দেশের অধিবাসী হতে হবে।

ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্র্যান্ডার্ড মেনে চলতে হবে। ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে; পেজ তৈরির বয়স তিন মাস হতে হবে। এবং গত দুই মাসে পেজে দশ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। সেই সাথে ষাট হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এসব শর্ত মানলে, পেজে কনটেন্ট মনিটাইজেশন চালু করে দিবে।

প্রফাইলের ক্ষেত্রে, প্রফাইলে পাঁচ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। অন্যান্য শর্তগুলো প্রায় একই রকম। ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্র্যার্ন্ডাড পলিসি কঠোরভাবে ফলো করে। তাই, ফেসবুকে ভিউ পাওয়া সহজ। তবে, আয় করা তুলনামূলক কঠিন।

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়-স্টার

নতুনদের জন্য ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়- হলো ফেসবুক স্টার। প্রতিটি স্টার থেকে ক্রিয়েটররা এক সেন্ট করে অর্জন করে থাকে। এর অর্থ হলো; একশত স্টার থেকে এক ডলার পাবেন।

এবার ফেসবুক স্টার কি? ফেসবুক স্টার হলো ভার্চুয়াল কয়েন। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করার জন্য তাদের ফলোয়াররা তাদের প্রদান। ফেসবুক স্টার সেন্ট করতে হলে, আপনার অ্যাকাউন্টে স্টার থাকতে হবে। এর জন্য ফেসবুক থেকে স্টার কিনতে হবে।

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়-বোনাস

যারা অন্য কোনো উপায়ে আয় করতে পারছেন না। তাদের জন্য ফেসবুক বোনাস। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, ফেসবুক বোনাস তখন আসবে যখন অন্যান্য ফিচার থেকে আয় শুরু হবে। তবে, বোনাস আপানর সার্বিক আয়কে আরো বাড়িয়ে দিবে।

ফেসবুকে ই-কর্মাস করে আয়

ই-কর্মাসের কথা তো জানেন? অনলাইনে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করার ব্যবসা। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য সেবা বিক্রয় করে আয় করা যায়। যেমন ফেসবুকে একটি পেজ কে ব্যবহার করে পণ্য সেবা বিক্রয় করে আয় করা যায়। যেমন, একটি শাড়ির পেজের খুললেন। ধরে নিলাম শ্রাবন শাড়ি হাউজ।

এই ফেসবুক পেজে নিয়মিত পোস্ট করুন। স্টোরি শেয়ার করুন। রিলস আপলোড করুন। টেক্সট লিখে শেয়ার করুন। শাড়ি বিক্রয় করে এমন গ্রুপে যোগ দিন। নিজে গ্রুপ তৈরি করুন। এসব গ্রুপে নতুন পুরাতন শাড়ি বিক্রয় নিয়ে আলোচনা করুন।

আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব।

ফেসবুক পেজ যেমন গ্রো করবে তেমন সেল বাড়বে। একদিকে শাড়ি বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে ফেসবুক রিলস, কনটেন্ট, লাইভ ইত্যাদি থেকে আয় করতে পারবেন।

ফেসবকু মার্কেটিং করে আয়

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় হলো ফেসবুক মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ আছে। ফেসবুক মার্কেটিং কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

আসুন দেখি কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়। ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনার কয়েকটি ফেসবুক প্রফাইল এবং পেজ থাকতে হবে। প্রতিটি পেজ এবং প্রফাইল থেকে মিনিমাম পাঁটি করে পোস্ট করতে হবে। এবং পাঁচটি করে পোস্ট শেয়ার করতে হবে।

কি পোস্ট করতে হবে? যে কোম্পানির জন্য ফেসবুক মার্কেটিং করবেন তাদের পণ্যের ছবি, এবং পণ্যের বিস্তারিত লিখে পোস্ট করতে হবে। একই রকমভাবে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে হবে।

এগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আয় করার উপায়। এছাড়াও নিজের পণ্যও এভাবে মার্কেটিং করে সেল বাড়িয়ে আয় করা যায়।

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়- পেইড এড ক্যাম্পেইন

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় পেইড এড ক্যাম্পেইন। পেইড এড ক্যাম্পেইন হলো টাকার বিনিময়ে মানুষকে পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দেখানো। ফেসবুককে টাকা দিলে আপনি যাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখাতে চান, ফেসবুক তাদের বিজ্ঞাপন দেখাবে।

এখন, ফেসবুক এড ক্যাম্পেইনে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। এই কাজের ডিমান্ড অনেক। পেইড এড ক্যাম্পেইনের কাজ করে মাসে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

মাসিক চুক্তিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতে পারবেন। বর্তমানে ফেসবুক পেইড এড ক্যাম্পেইনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।


Spread the love

1 thought on “ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় ২০২৫”

Leave a Comment