অনলাইন ইনকাম করে ক্যারিয়ার গড়া যায়। অনলাইন ইনকাম ফ্যান্টাসি নয়, বাস্তবতা। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অনলাইন ইনকাম এর দিকে ঝুঁকছে। অনলাইন ইনকাম এর গ্রোথ রেট বলে দিচ্ছে আগামী দিনে এর ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
এআই (AI) আবিষ্কার তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে বদলে দিয়েছে। অনলাইনে কাজের ক্ষেত্র বাড়ছে। জেন-জি প্রজন্ম গতানুগতিক কাজ করতে চায় না। তারা নতুন কিছু করতে চায়। তারা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে চায়।
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে। কর্ম দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। এসব কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। দক্ষতা অর্জন করলে, অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনলাইন ইনকাম করে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম:
অনলাইন ইনকাম হলো তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বায়ারদের সাথে স্থায়ী, অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক, এবং ঘন্টা ভিত্তিতে কাজ করে ইনকাম করাকে (Onlin income) অনলাইন ইনকাম বলে।
অনলাইন ইনকাম মানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্যোশাল মিডিয়া, এআই, ওয়েবসাইট, ব্লগসাইট সকল অনলাইন হাবকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম জেনারেট করাই হলো অনলাইন ইনকাম।
উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, মোবাইল কম্পিউটার ইন্টারনেট সংযোগ কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং উপায়ে দেশে বসে আমেরিকার প্রজেক্টে কাজ করে টাকা ইনকাম করা।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রচুর কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক রিমোট জব আছে। এসব জব অনলাইন মাধ্যমে করতে হয়। এসব জব করে অনলাইন ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং, স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগিং, ইউটিউবিংসহ আরো ক্ষেত্র আছে। অনলাইনের ইনকামের আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করবো আজকের এই পোস্টে। নতুনরা কিভাবে শুরু করবেন। কতো টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইন ইনকাম এর ভবিষ্যত কেমন। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
অনলাইন ইনকাম 2024:
অনলাইন ইনকাম 2024-এ ব্যপক প্রসার ঘটেছে। ২০২৪ সালেই মূলত এআই (AI) প্রযুক্তির সফল ব্যবহার শুরু হয়। যার ফলে, অনলাইন কর্মক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। অনলাইন ইনকাম ক্ষেত্র প্রতিযোগিতামূলক হয়।
এআই প্রযুক্তির ব্যবহার অযোগ্য কর্মীদের রিপ্লেস করে দিচ্ছে। অযোগ্যরা হারিয়ে যাবে। যোগ্যরাই টিকে থাকবে। ২০২৪ সালে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে, নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। অনলাইনে ইনকাম করতে হলে, দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই।
অনলাইনে ইনকাম 2024; ব্লগিং ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি যে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। এআই টুলসগুলোর ব্যবহার শিখতে হবে। প্রিমিয়াম টুলস ব্যবহার করতে হবে।
চ্যাটজিপিটির ব্যবহার এসইও ইন্ড্রাসট্রিকে বদলে দিয়েছে। ২০২৪ সালে এসে ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে এসইও করতে পারবেন না। আপনার সাইটকে Google Top Rank-এ আনতে পারবেন না।
কনটেন্ট রাইটিং থেকে ইমেজ ক্রিয়েশন সবকিছু এআই দিয়ে করা সম্ভব। ওয়েবসাইট তৈরি, ভিডিও তৈরি, সব কিছু করা সম্ভব। মানুষের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। ২০২৪ সালে এসে দশ দিনের কাজ এক দিনে করা সম্ভব।
১০-জন কর্মীর কাজ একজনকে দিয়ে করানো হচ্ছে। এর ফলে কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। যার যোগ্য তারাই, টিকে যাচ্ছেন। তাদের কাজের অভাব হচ্ছে না। বরং, কাজ বাড়ছে।
২০২৪ সালে এসে, অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে, আমাদের এই পোস্টের নিচের অংশটুকু পড়ুন। কিভাবে এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ইনকাম শুরু করবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।
অনলাইন ইনকাম সাইট 2024:
অনলাইন ইনকাম সাইট 2024। এই বছরে, অনলাইন ইনকাম শুরু করতে চাচ্ছেন। কোন সাইটগুলোতে কাজ করবেন বুঝতে পারছেন না। নতুনদের জন্য ব্যপারটা কঠিন। আপনাদের সহযোগিতা করাই এই পোস্টের লক্ষ্য।
১০টি অনলাইন ইনকাম সাইট:
2024 সালের, সেরা ১০টি অনলাইন ইনকাম সাইট নিয়ে আলোচনা করবো। যে ১০টি সাইটে নতুদের কাজের অফার করা হয়। এডভান্স লেভের কাজ করানো হয়। চুক্তিভিত্তিক কাজ করানো হয়। আবার, ঘন্টাভিত্তিতে কাজও করানো হয়।
১. ফাইভার অনলাইন ইনকাম সাইট:
ফাইভার (Fiverr) একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই অনলাইন ইনকাম সাইটটির নাম ফাইভার করার প্রধান কারণ হলো; এখানে ৫ ডলার থেকে কাজ করানো শুরু হয়। ছোট ছোট কাজ করানো হয়।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুর্বণ সুযোগ। কারণ, নতুদের কাছে বড় প্রজেক্ট দিতে বিশ্বাস পাওয়া যায় না। তাই শুরুতে, ছোট প্রজেক্ট দেয়া হয়। ৫ ডলারের প্রজেক্ট টাইমলি ভালোভাবে শেষ করতে পারলে, বড় কাজ পাওয়া সম্ভবনা বাড়ে।
ফাইভাবে বড় বড় কাজও করানো হয়। ফাইভারে জব পেতে হলে, শুরুতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। একটি ইমেইল আইডি এবং মোবাইল নাম্বার হলেই অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়।
ফাইভারে জব পাওয়ার জন্য গিগ পাবলিশ করতে হবে। গিগ হলো জবের বা কাজের অফার। গিগে একটি প্রজেক্টের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে। একটি টাইটেল, বর্ণনা। বর্ণনায় সমস্যা এবং সমাধান তুলে ধরতে হয়।
প্রজেক্টটি কতোদিনের শেষ করবেন তাও উল্লেখ করতে হয়। কিভাবে প্রজেক্ট সাজাবেন। কোন প্রক্রিয়া কাজ করবেন বিস্তারিত।
যেন গিগ দেখেই বায়ার বুঝতে পারবেন, আপনি কাজটি পারেন। সমস্যা কি? এবং তার সমাধান কি? সব জানেন। এভাবেই ফাইভার থেকে অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারেন।
২.আপওয়ার্ক– অনলাইন ইনকাম সাইট:
আপওয়ার্ক একটি অনলাইন ইনকাম মার্কেটপ্লেস। ফাইভারের তুলনায় বড় বড় প্রজেক্টের কাজ করানো হয়। স্থায়ী ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করানো হয়।
আপওর্য়াকে বায়ার জব পোস্ট করেন। ফ্রিল্যান্সাররা জবের জন্য বিড করেন। বিড উইন করে প্রজেক্ট পেতে হয়। প্রজেক্টে বিড করতে কভার লেটার লিখতে হয়। কভার লেটারে প্রজেক্টের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
আপওর্য়াকে জব বিড করতে কানেকশন প্রয়োজন হয়। জব প্রজেক্টভেদে কানেকশন কম-বেশি হয়। বড় প্রজেক্টে বেশি কানেকশন প্রয়োজন হয়। প্রতিমাসে ১০টি করে ফ্রি কানেকশন দেয়া হয়। ১০টি কানেকশন শেষ হলে, ডলার খরচ করে কানেকশন কিনতে হয়। এজন্য শুরুতে, অল্প কানেকশন আছে, এমন জবে বিড করা উচিৎ।
ফাইভারের মতো আপওর্য়াকেও অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে, ইমেইল আইডির প্রয়োজন হয়। এবং একটি সচল মোবাইল নাম্বার। অ্যাাকাউন্ট তৈরি করার সময় সঠিক তথ্য দিবেন। কারণ, পেমেন্ট উত্তোলনের সময় অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা হয়।
অনলাইন ইনকাম সাইট ফাইভারে কাজ করে মাসে কয়েক হাজার ডলার ইনকাম করা যায়। ২০২৪ সালের সবথেকে জনপ্রিয় অনলাইনে ইনকাম সাইট হলো ফাইভার।
৩.ব্লগার-অনলাইন ইনকাম সাইট:
ব্লগার-অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। ব্লগিং এর গ্রোথ রেট হাই। দিনে দিনে ব্লগিং এর চাহিদা বাড়ছে। তবে, ব্লগিং এর ধরণে পরিবর্তন এসেছে। ব্যক্তিগত ব্লগিং এর তুলনায়, তথ্যমূলক ব্লগিং এর চাহিদা বেড়েছে।
ব্লগার Google এর একটি পণ্য। ব্লগারের মাধ্যম আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। আর্টিকেলে স্পন্সরের মাধমৈ অনলাইন ইনকাম করা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা যায়।
একটি ইমেইল আইডি দিয়ে ব্লগার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়। ব্লগারে ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়। তবে, ব্লগার থেকে অনলাইন ইনকাম করতে হলে, একটি কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করতে হবে। এবং প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা উচিৎ।
সাইট সুন্দর করে ডিজাইন করে নিন। সাইটের টেকনিক্যাল এসইও করা খুব জরুরী। কারণ, টেকনিক্যাল এসইও Google Top Ranking করতে সহায়তা করে।
সাইটে প্ল্যাগারিজমমুক্ত ইউনিক কনটেন্ট পাবলিশ করুন। ইউনিক কনটেন্ট গুগলের কাছে আলাদা গুরুত্ব পায়। ইউনিক কনটেন্ট দিয়ে সহজে অনলাইন ইনকাম শুরু করা যায়।
৪.ইউটিউব-অনলাইন ইনকাম সাইট:
অনলাইন ইনকাম সাইট ইউটিউব। ইউটিউবের কথা নতুন করে বলার নাই। সবাই জানেন। ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। দেশে প্রচুর ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছেন। যারা নিয়মিত অনলাইনে ইনকাম করছেন।
একটি ইমেইল আইডি, এবং সচল ফোন নাম্বার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলা যায়। ভিডিও ধারণ করুন। প্রফেশনালি এডিট করুন। অডিও এডিট করুন। ভিডিওর অডিও ক্লিয়ার না হলে, সেই ভিডিও কেউ দেখতে চায় না।
এবার ভিডিও আপলোড করুন। ভিডিও এসইও করুন। ভিডিও মার্কেটিং করুন। ভিডিওতে ভিউ আসলে, সাবস্ক্রাইবার বাড়বে। ওয়াচ টাইম বাড়বে। বাড়তে বাড়তে যখন চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হবে। তখন ভিডিওকে মনিটাইজ করিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার শর্ত আছে; কি কি শর্ত আছে। আসুন দেখে নিই। কি কি শর্ত পূরণ করলে, একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করানো যায়।
- একহাজার সাবসক্রাইবার
- চারহাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
- চ্যানেল ২-স্টেফ ভেরিফিকেশন
- চ্যানেলে কোনো প্রকার স্ট্রাইক থাকতে পারবেনা
- রিভিউয়ে পাস
এই সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনলাইন ইনকাম করা যায়। ইউটিউব থেকে আরো অনেক উপায়ে আয় করা যায়।
৫.ফেসবুক-অনলাইন ইনকাম সাইট:
অনলাইন ইনকাম সাইট হিসেবে ফেসবুক বেছে নিতে পারেন। ফেসবু থেকে অনেক উপায়ে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক ব্লগ সাইটের বিকল্প। ইউটিইবের বিকল্প। ই-কর্মাস সাইটের মতোও কাজ করা যায়।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক রিলস ভিডিও থেকে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক স্টার থেকে ইনকাম করার সুয়োগ আছে। রাইজিং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বোনাসের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও আছে, সাবসক্রিপশনের ব্যবস্থা। সাবসক্রিপশনের মাধ্যমেও অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ আছে। এছাড় ফেসবুকে আছে মার্কেটপ্লেস। মার্কেটপ্লেসে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার সুযোগ আছে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম করা যায়। ফেসবুক এড ম্যানেজারের মাধ্যমে এডস ক্যাম্পেইন করে টাকা ইনকাম করা যায়।
৬. সাটারস্টক থেকে অনলাইন ইনকাম:
সাটারস্টক থেকে অনলাইন ইনকাম করা যায়। এই সাইটে ছবি ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। মূলত এই সাইটে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ইমেজ বিক্রয় হয়। ইমেজ বিক্রয়ের একটি কমিশন দেয়া হয়। ইমেজের মালিককে।
প্রাকৃতিক দৃশ্য, পশু-পাখির দৃশ্য, সমুদ্রের দৃশ্যসহ ভালো ভালো ছবি ধারণ করুন। এসব ছবি ভালো ডিভাইস দিয়ে এডিট করুন। কাজ শেষ। এবার, এই ছবি আপলোড দিতে হবে। কোথায় আপলোড করবেন।
সার্টারস্টোক-অনলাইনে ইনকাম সাইটে আপলোড করুন। আপলোড করতে হলে, অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। একটি ইমেইল আইডি ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। এবার, ছবিগুলো আপলোড করে রাখুন।
এই ছবিগুলো বিক্রয় করার জন্য যতো ধরণের মার্কেটিং প্রয়োজন সার্টারস্টোক সাইট করবে। প্রতিমাসে যতো ছবি বিক্রয় হবে তার ৩৫% কমিশন দেয়া হবে। এভাবে সার্টারস্টোক ছবি বিক্রয় সাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
৭. 99 Design থেকে অনলাইন ইনকাম:
99 Design থেকে অনলাইন ইনকাম করতে চান। 99 Design website থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন, এটা ডিজাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস সাইট।
99 Design website এর ট্র্যাগলাইন হলো Logos, Web, Graphics Design, ad more।
যারা, লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পারেন তারা, 99 Design থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
এখানে ব্যসিক কাজগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়। অন্য কারো ডিজাইন এডিট করে নিজের নামে চালানো হলে বেশিদিনকাজ পাবেন না।
যাদের সৃজনশীলতা আছে তারাই এই সাইট থেকে আনলিমিটেড অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। সৃজনশীলতার কাজের মূল্যায়ণ সব জায়গায় আছে। এখানেও পাবেন।
৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে অনলাইন ইনকাম;
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম। দেশ বিদেশে প্রচুর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট আছে। এসব সাইটে কাজ করে অনলাইন ইনকাম করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে, নিজস্ব ট্রাফিক থাকতে হবে। নিজস্ব ট্রাফিক থাকলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর অনলাইনে ইনকাম জেনারেট করা যায়।
ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক, ব্লগ সাইট, এবং ওয়েবসাইট এসব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভিজিটর থাকলে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করা যায়। যেমন; ভিডিও ড্রেসক্রিপশনে Amazon এর একটি পণ্যের লিংক দিয়ে পণ্য সর্ম্পকে বর্ণনা দিয়ে দিলে, ভিজিটররা লিংকে থেকে Amazon Affiliate লিংকে গিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় যতো পণ্য কিনবে, তার উপর ৫%-২০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন।
৯. মাইক্রো-জব সাইট থেকে অনলাইন ইনকাম;
মাইক্রো-জব সাইট থেকে অনলাইন ইনকাম করা যায়। মাইক্রো-জব সাইট কি। মাইক্রো-জব সাইট হলো ছোট ছোট কাজ করানোর ওয়েবসাইট। যেমন; ভিডিও দেখে অনলাইনে ইনকাম। এডস দেখে ইনকাম ইনকাম। সার্ভে করে অনলাইনে ইনকাম। এমন আরো অনেক কাজ করানো হয়।
মাইক্রো-জব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে স্কিলের দরকার হয় না। সবাই ইনকাম করতে পারে। বিনোদনের সাথে সাথে ইনকাম হয়।
এসব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে, ল্যাপটপ কম্পিউটার লাগবেই এমন নয়। মোবাইল দিয়ে ঘরে বসেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১০. ইনসট্রাগ্রাম থেকে অনলাইন ইনকাম:
স্যোশাল মিডিয়া সাইট ইনসট্রাগ্রাম থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। স্যোশাল মিডিয়া খুব জনপ্রিয়। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা সম্ভব। পণ্যের প্রচার করে বিক্রয় বাড়িয়ে ইনকাম বাড়ানো যায়।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে, অনলাইনে ইনকাম করা যায়। এসব ক্ষেত্রে ইনসট্রাগ্রাম হলো সবথেকে ভালো।
ইনসট্রাগ্রাম থেকে অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে, অবশ্যই ৫-১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। যতো বেশি ফলোয়ার থাকবে, ততো বেশি পোস্টের রিচ বাড়াবে। পণ্যের প্রচার বেশি হবে। পণ্যের সেল বেশি হবে। ইনকাম বেশি হবে।
অনলাইন ইনকাম সাইট বাংলাদেশ:
অনলাইন ইনকাম সাইট বাংলাদেশ সর্ম্পকে জানতে চাইছেন। অনলাইনে ইনকাম শুরু করার আগে, খুটিনাটি সব বিষয় জেনে নেয়া ভালো। আগের পয়েন্টে আমরা অনলাইনে ইনকামের সেরা ১০টি সাইট নিয়ে আলোচনা করেছি।
এখানে আমরা আলোচনা করবো; অনলাইন ইনকাম সাইট বাংলাদেশ নিয়ে। আমারা এখানে দেখাবো বাংলাদেশী কোন কোন অনলাইনে ইনকাম সাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়। এর জন্য চাই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। একাগ্রতা আর অধ্যাবসায়। ছেড়ে না দেয়ার মানুষিকতা। নিয়মিত কিছু শেখার মানুষিকতা। ব্লগ পোস্ট পড়া। বই পড়া। ভিডিও দেখা। যেকোনো বিষয়ে সমস্যায় পরলে, আশেপাশে সবার সাথে শেয়ার করা। এক কথায় সবার থেকে শিক্ষা নেয়ার মানুষিকতা।
বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইটে কাজ করার কিছু সুবিধা আছে। বায়ারের সাথে ভাষাগত সমস্যা হবে না। কাজ করার পরে পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় পরতে হবে না। কাজ সহজে পাওয়া যায়। কাজ পেতে কম্পিটিশন কম হয়।
অনলাইন ইনকাম সাইট বাংলাদেশ এর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি আপনাদের জন্য। বাংলাদেশি অনলাইনে ইনকাম সাইট নিয়ে কাজ শুরু করার আগে চোখ বুলিয়ে নিন।
- ইনকাম সাইট বিকাশ;
- মোবাইল ব্যাংকিং নগদ;
- ফুড পান্ডা থেকে ইনকাম;
- ই-কর্মাস সাইট দারাজ;
- বিক্রয় ডট কম অনলাইন ইনকাম সাইট;
- টেন মিনিট স্কুল;
- পাঠাও-ডাইভার;
- উবার ডাইভিং করে ইনকাম;
- রকমারী ডট কম
এসব বাংলাদেশি ইনকাম সাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। এগুলোর কিছু হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট সাইট। কিছু যাত্রী পরিবহণ। আবার কিছু মোবাইল ব্যাংকিং সাইট। সব সাইট থেকেই ইনকাম করা সম্ভব। কাজ করলেই ইনকাম হবে।
অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট:
অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট দেখে বুঝে গেছেন। কোন অনলাইনে ইনকাম সাইটে কাজ করে বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন। বিকাশ একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাই, বিকাশে পেমেন্ট নিতে হলে, বাংলাদেশী অনলাইনে ইনকাম সাইটে কাজ করতে হবে।
আমি একটি ব্লগ সাইটের নাম জানি। যে সাইটটি নাম শ্রাবানবিডি। ব্লগ সাইটটি গেস্ট পোস্ট রাইটার হার্য়ার করে। তাদের ব্লগ সাইটের জন্য আর্টিকেল লিখায়। প্রতি এক হাজার শব্দের আর্টিকেলের জন্য পঞ্চাশ টাকা প্রদান করে। দুই হাজার শব্দের জন্য একশত টাকা প্রদান করে। পাঁচ হাজার শব্দের আর্টিকেলের জন্য দুই শত টাকা প্রদান করেন।
অর্ডিনারি আইটিতে আর্টিকেল লিখতে পারেন। আটিকেল লিখে অনলাইন ইনকাম করা যায়। এছাড়াও জিৎ আইটিতে আর্টিকেল লিখতে পারেন। এই সাইটগুলো ভালো রেট প্রদান করে।
আর এসব সাইট থেকে ইনকাম করা টাকা বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ করে নিতে পারবেন।
তাছাড়াও উপরের যেসব সাইটের নাম উল্লেখ করেছি, সেগুলোতে কাজ করেও অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। এসব সাইটের নাম আরেকবার দেখে নিন।
- ইনকাম সাইট বিকাশ;
- মোবাইল ব্যাংকিং নগদ;
- ফুড পান্ডা থেকে ইনকাম;
- ই-কর্মাস সাইট দারাজ;
- বিক্রয় ডট কম অনলাইন ইনকাম সাইট;
- টেন মিনিট স্কুল;
- পাঠাও-ডাইভার;
- উবার ডাইভিং করে ইনকাম;
- রকমারী ডট কম
সরকারি অনলাইন ইনকাম:
অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে। সরকারি অনলাইন ইনকাম কি? এটা জানা প্রয়োজন। সরকারি অনলাইন বলতে আসলে, সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। যেসব প্রতিষ্ঠানের মাধমে ফ্রিল্যান্সি প্রশিক্ষণে সহায়তা করা হয়। অনলাইনে ইনকাম এর ক্ষেত্রে সঠিক গাইড লাইন প্রদান করা হয়।
কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। যাদের কাজ দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা। আইটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা। ফ্রিল্যান্সিং কর্ম পরিবেশ তৈরি করা। যেমন; টেকনিক্যাল টেইনিং সেন্টার। জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়। যুবউন্নয় অধিদপ্তর। বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেইনিং সেন্টার। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল টাকা।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে সারা বছর ট্রেইনিং সিডিউল থাকেই। ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে ইথিক্যাল হ্যাকিং এর মতো এডভান্স লেভেলের কোর্স করানো হয়।
ফ্রিল্যান্সারদেরকে অনলাইন ইনকাম করার উপযোগী কর গড়ে তুলতে এসব কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনলাইনে কাজ শুরু করার আগে কোর্স করুন। কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্রিতে কোর্স কারায়। কিছু প্রতিষ্ঠান নামমাত্র মূলে কোর্স করায়।
ফ্রি টাকা ইনকাম:
ফ্রি টাকা ইনকাম বলতে, কাজ না করে টাকা ইনকাম করাকে বুঝায় না। বরং, কোনো প্রকার টাকা পয়সা বিনিয়োগ না করে, ছোট ছোট এবং সহজ কাজ করে টাকা ইনকাম করাকে বুঝায়।
এখানে সহজ কাজ করে টাকা ইনকাম করা হয়। ফ্রি টাকা ইনকাম করতে ল্যাপটপ কম্পিউটারের দরকার হয় না। মোবাইল আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়।
ফ্রি টাকা ইনকাম এর উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি; ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করা। অনলাইন সার্ভে করে অনলাইন ইনকাম করা। এডস দেখে টাকা ইনকাম।
ফ্রি টাকা ইনকাম করতে কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। ছোট বড় সবাই এই কাজ করতে পারে। সবাই ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারে।
ফ্রি টাকা ইনকাম কাজ:
- ভিডিও দেখে অনলাইনে ইনকাম;
- এডস দেখে টাকা ইনকাম;
- গেম খেলে টাকা ইনকাম;
- সার্ভে করে অনলাইনে ইনকাম;
- পোস্ট শেয়ার করে অনলাইনে ইনকাম;
- লুডু খেলে ইনকাম ইনকাম;
- ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার করে টাকা ইনকাম;
- অ্যাপসের লিংক শেয়ার করে ইনকাম;
- ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম;
- পোস্ট শেয়ার করে ইনকাম;
- পোস্ট পড়ে ইনকাম;
ফ্রি অনলাইন ইনকাম সাইট:
ফ্রি অনলাইন ইনকাম সাইট এর নাম না জানলে, ইনকাম করবো কিভাবে? ফ্রি অনলাইনে ইনকাম সাইট সর্ম্পকে অবশ্যই জানতে হবে। ফ্রি টাকা ইনকাম করতে সাইট ভিজিট করা জটিল প্রসেস। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে কাজ করা হয়।
মোবাইল দিয়ে ইনকাম সাইট ভিজিট করা সহজ নয়। তাই, আমার পরামর্শ হলো ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য ফি অনলাইনে ইনকাম Apps গুলো মোবাইলে ডাউনলোড করে নেয়া।
ফ্রি অনলাইনে ইনকাম সাইট। আর ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপস দিয়ে একই কাজ করা হয়। তাই, আমরা এখানে ইনকাম সাইটগুলোর নাম উল্লেখ না করে নিচের পয়েন্টে ইনকাম অ্যাপ নিয়ে আলাদা পয়েন্টে আলোচনা করছি।
নিচের পয়েন্টে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। তাহলে, ফ্রি অনলাইন ইনকাম সাইট ভিজিট করতে হবে না। সাইট ভিজিট করে সময় নষ্ট করতে হবে না।
ফ্রি অনলাইন ইনকাম Apps 2024:
ফ্রি অনলাইন ইনকাম Apps 2024 সর্ম্পকে একটি ধারণা দিতে চেষ্টা করবো। ২০২৪ সালে, কোন কোন Apps ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায়। কোন Apps ব্যবহারে বেশি টাকা পাওয় যায়। কোনটি ব্যবহার করা সহজ।
কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। যেটা ব্যবহার করা উচিৎ নয়, সেটা আমরা আমাদের ইনকাম লিস্টে রাখবো না। এবার, একনজরে দেখে নিই; ফ্রি অনলাইনে ইনকাম Apps 2024।
- Swagbucks ফ্রি অনলাইনে ইনকাম Apps 2024;
- Google Opinion Rewards;
- Pocket Money Online Income App;
- Earn Easy Online Income App;
- Bkash App;
- Food Panda;
- Big Cash Online Income App;
- Rakuten;
- Fiverr- Freelancer Mobile App;
- mCent;
- Taskrabbit Online Income App;
- Phonpe;
- Dosh;
- Upside;
- Truckbucks Online Income App;
- Ibotta;
- Meeso;
- Uber-Driver;
- Roz Dhan;
- Survey Jankie Online Income App;
- Earnkoro Online Income App;
এসব মোবাইল অ্যাপসের সাহায্যে অনলাইন ইনকাম করা যায়। ২০২৪ সালের ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপস আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। ফ্রি টাকা ইনকাম করতে চাইলে, এগুলোর থেকে ট্রাই করেন।
ফ্রি অনলাইন ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট:
ফ্রি অনলাইন ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন। ফ্রি অনলাইনে ইনকাম নিয়ে পোস্টের প্রথম দিকে আলোচনা করেছি। আবার বলছি। অর্থ বিনিয়োগ না করে, অল্প সময়ে সহজ কাজ করে টাকা ইনকাম করাই হলো ফ্রি টাকা ইনকাম।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে, ব্যসিক কাজ করে ইনকাম করা অর্থ বিকাশে পেমেন্ট নেয় যায় কিভাবে। বাংলাদেশী সাইটে কাজ করতে হবে।
ফ্রি অনলাইন ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে কোন কাজগুলো করবেন? যেসব কাজ খুবই সহজে করা যায়। সবাই করতে পারে। মোবাইল দিয়ে করা যায়। এমন কাজই বাছাই করবো। কাজগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
- লুডু খেলে ইনকাম ইনকাম;
- ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার করে টাকা ইনকাম;
- অ্যাপসের লিংক শেয়ার করে ইনকাম;
- ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম;
- পোস্ট শেয়ার করে ইনকাম;
- পোস্ট পড়ে ইনকাম;
- ভিডিও দেখে অনলাইনে ইনকাম;
- এডস দেখে টাকা ইনকাম;
- গেম খেলে টাকা ইনকাম;
- সার্ভে করে অনলাইনে ইনকাম;
- পোস্ট শেয়ার করে অনলাইনে ইনকাম;
- ফুড ডেলিভারি করে ইনকাম;
- উবারে যাত্রী পরিবহণ করে ইনকাম;
- গুগল রিভিউ দিয়ে ইনকাম;
- ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম;
- অনলাইন টিউশনি করে ইনকাম;
- ড্রপ শিপিং করে ইনকাম;
- অনলাইন পণ্য বিক্রয় করে ইনকাম;
ফ্রি অনলাইন ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে উপরে উল্লিখিত কাজগুলো করুন। কোথায় পাবেন এসব কাজ? আমরা কিছু অ্যাপসের নাম উপরে উল্লেখ করেছি। সেগুলো দেখে নিন। এখানে অল্প কয়েকটি মোবাইল অ্যাপসের নাম উল্লেখ করছি।
- ফুড পান্ডা মোবাইল অ্যাপস;
- ই-কর্মাস সাইট দারাজ মোবাইল অ্যাপস;
- বিক্রয় ডট কম মোবাইল অ্যাপস;
- টেন মিনিট স্কুল মোবাইল অ্যাপস;
- পাঠাও-ডাইভার মোবাইল অ্যাপস;
- উবার ডাইভিং মোবাইল অ্যাপস;
- রকমারী ডট কম মোবাইল অ্যাপস।
রিয়েল ইনকাম সাইট:
রিয়েল ইনকাম সাইট নিয়ে কিছু কথা। আজকের আলোচনায় রিয়েল ইনকাম সাইট নিয়ে কথা না বললে আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই, রিয়েল ইনকাম সাইট নিয়ে দু’চারটি কথা বলা উচিৎ। অনলাইন ইনকাম করতে হলে রিয়েল ইনকাম সাইট সর্ম্পকে জ্ঞান থাকা উচিৎ।
আমরা এখন, কয়েকটি রিয়েল ইনকাম সাইটের নাম উল্লেখ করছি। রিয়েল ইনকাম সাইট জানা থাকা থাকলে, সেই অনুযায়ী স্কিল অর্জন করতে পারবে। এবং এসব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করুন।
Google AdSense:
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি সহযোগি প্রতিষ্ঠান। গুগলের ব্লগার, ইউটিউব, গুগল প্লে স্টোরসহ যতোগুলো গুগলের প্রডাক্টে আছে। যেসব প্রডাক্টে ভিজিটর ভিজিট করে। সেই সব সাইট মনিটাইজেশন করার সুযোগ আছে। সবগুলো থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
Facebook রিয়াল ইনকাম সাইট:
ফেসবুক রিয়াল ইনকাম সাইট। ফেসবুকে অনেক উপায়ে ইনকামের সুযোগ আছে। ভিডিও পেজ মনিটাইজেশনের মাধ্যমে। রিলস ভিডিও তৈরি করে। ফেসবুক বোনাস ফান্ড থেকে। ফেসবুক সাবক্রিপশন থেকে।
এছাড়াও ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রয় করে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে ইনকাম করা যায়।
পণ্যের প্রচার করে ইনকাম করা যায়। এসবের পরে আমরা বলতেই পারি যে, ফেসবুক হলো একটি রিয়েল টাকা ইনকাম সাইট। যেসব সাইটে কাজ করে ক্যারিয়ার গড়া যায়। দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করা যায়। এবং নিশ্চত টাকা পাওয়া যায়। তাই হলো রিয়াল ইনকাম সাইট। Facebook সেরকমই একটি সাইট।
Fiverr রিয়াল ইনকাম সাইট:
ফাইভার একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারা সেবা ক্রয় বিক্রয় করেন। এই সাইটে ছোট ছোট কাজ পাওয়া যায়। মাত্র ৫ ডলার থেকে কাজ শুরু হয়।
ফাইভারে কাজের জন্য গিগ পাবলিশ করতে হয়। গিগ হলো জবের বর্ণনা। কিভাবে কাজটি করবেন। প্রাইজ কতো। আপনার অভিজ্ঞতা সব কিছু বর্ণনাতে উপস্থাপন করতে পারবেন।
উপসংহার:
অনলাইন ইনকাম নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা। ইনকামের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেছি। নতুনররা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। শুরুতে, ফ্রি অনলাইন ইনকাম সাইটে কাজ করা উচিৎ। দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এডভান্স লেভের কাজ শিখে ক্যারিয়ার গড়া উচিৎ।
ইনকাম বিষয়ক আরো পোস্ট পড়তে আমাদের সাইট টি ভিজিট করুন। আমরা ইনকাম টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়ে নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করি। পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আরো জানতে ঘুড়ি লার্নিং এই পোস্টটি পড়ুন।
অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী:
প্রশ্ন: অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করব কিভাবে?
উত্তর: অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পরীক্ষিত উপায় সমূহ;
- ভিডিও দেখে অনলাইনে ইনকাম;
- এডস দেখে টাকা ইনকাম;
- গেম খেলে টাকা ইনকাম;
- সার্ভে করে অনলাইনে ইনকাম;
- পোস্ট শেয়ার করে অনলাইনে ইনকাম;
- লুডু খেলে ইনকাম ইনকাম;
- ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার করে টাকা ইনকাম;
- অ্যাপসের লিংক শেয়ার করে ইনকাম;
- ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম;
প্রশ্ন: ফরসেজ থেকে কত টাকা ইনকাম?
উত্তর: ফরসেজ হলো একটি অনলাইনে ইনকাম সাইট। হাতের মোবাইল দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। ঘরে বসে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করা যায়। ফরসেজ এ কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায়। কতো টাকা ইনকাম করবেন? তা নির্ভর করছে আপনার দক্ষতার উপর। কতো সময় কাজ করবেন তার উপর।
প্রশ্ন: টাকা আয় কিভাবে হয়?
উত্তর: টাকা আয় হয় কাজের মাধ্যমে। শ্রমের বিনিয়মে টাকা প্রদান করা হয়। আবার, ব্যবসায় পণ্যের বিনিময়ে টাকা প্রদান করা হয়। সার্ভিসের ক্ষেত্রে সার্ভিস দিয়ে টাকা গ্রহণ করা হয়।
প্রশ্ন: কি গেম খেলে টাকা আয় করা যায়?
- হ্যাঁ, অবশ্যই গেম খেলে টাকা আয় করা যায়।
- লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম;
- PubG গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়;
- Free Fire Game:
- Dream11 Game খেলে টাকা ইনকাম করা যায়।
অনলাইনে আরো অনেক গেম আছে। এসব গেম খেলেও টাকা ইনকাম করা যায়। গেম খেলার ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়।
প্রশ্ন: কিভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করা যায়?
উত্তর: অনলাইন ইনকাম করার অনেক উপায় আছে। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় উপায়গুলো হলো;
- YouTube Content Creation;
- Facebook Content Creation;
- Blogging ;
- Search Engine Optimization;
- Articale Writing;
- Digital Marketing
- Facebook Marketing
- Instagram Marketing
- E-Commerce
- Affiliate marketing
প্রশ্ন: ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
উত্তর: ব্লগিং করে মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করা যায়। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় না। কারণ, দেশের এডের সিপিসি বেশি হয় না। আবার, আরপিএম কম হয়।
অপরপক্ষে, ইংরেজি ভাষা আন্তার্জাতিক ভাষা। কানাডা আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই ইংরেজি কনটেন্ট সার্চ করে আর্টিকেল পড়ে। সেসব দেশের এডস দেখানো হয়।
এসব দেশের সিপিসি রেট হাই থাকে। আরপিএমও ভালো ফলে ইনকাম বেশি হয়। মাসে হাজার ডলার চলে আসে।
4 thoughts on “অনলাইন ইনকাম”