বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট হলো এমন একটি বিকাশ একাউন্ট যা সাধারণত ব্যবসায়ী ব্যবহার করতে পারেন। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা পণ্যের বিনিময়ে হাতে হাতে ক্যাশ না নিয়ে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারেন।
এটা শুধু ধরা ছোয়া যায় এমন পণ্য নয় যেকোনো অনলাইন সেবার ক্ষেত্রেও বিকাশ পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন বিকাশের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারা।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে আলাদা। এটা শুধ ব্যবসায়িকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ডিজাইন করা হয়েছে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে লাগে ব্যসিক কিছু কাগজপত্র। এসব ডকুমেন্টসগুলো গুছিয়ে হাতের কাছে রেখে দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজে কাজে হাত দিবেন। কারণ, কাজের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হাতের কাছে পাবেন না।
এমনটিই হয়ে থাকে। এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক কোন কোন ডকুমেন্টস দিয়ে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন হয়।
১. জাতীয় পরিচয়পত্র অ্যাকাউন্ট হোল্ডার/ ব্যবসায়িকের;
২. ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স- অবশ্যই বৈধ্য হতে হবে;
৩. ২ কপি পার্সপোর্ট সাইজ ছবি প্রয়োজন হবে;
৪. মোবাইল নাম্বার;
৫. ব্যবসার ঠিকানা;
৬. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট;
৭. বাংলাদেশী বৈধ নাগরিক হতে হবে।
কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট আবেদন করবেন?
কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট আবেদন করবেন? এটা নিয়ে চিন্তিত? কোনো ঝামেলাছাড়াই অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করুন। আবেদন করার জন্য বিকাশের অফিসিয়ার ওয়েবসাইট- গিয়ে কয়েকটি স্টেফ ফলো করে একটি ফরম পূরণ করুন। ব্যস আপনার কাছ শেষ।
1. bKash official Website: https://www.bkash.com
2. Merchant Account Section-এ যান।
3. অনলাইনে বিকাশ মার্চেন্ট ফরম পূরণ করুন।
4. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন।
5. আবেদন সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কিনা চেক করুন। রি-চেক করুন। এবার সাবমিট করুন।
অফলাইনের মাধ্যমে কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট আবেদন করবেন?
অনলাইনে সম্ভব না কিভাবে আবেদন করতে হয়। সেটাও তো আমাদের জানা থাকা দরকার। কারণ, সব সময় বিকাশ সাইটের সার্ভর নাও থাকতে পারে। বৈদ্যুতিক গোলোযোগ থাকতে পারে। তাই, অফলাইনে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট আবেদন করার নিয়ম জেনে নেয়া যাক। কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট আবেদন করবেন?
আরো পড়ুন: ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট পাবেন কিভাবে!
বিকাশে ১০০০ টাকা ফ্রি কি সবাই পাবেন!
১. প্রথমে নিকটস্থ বিকাশ অফিস/ এজেন্ট/ কাস্টমার কেয়ার/ অথবা ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্টে যান। উপরোল্লিখিত ডকুমেন্টসগুলো নিয়ে যান।
২. সংশ্লিষ্ট অফিসার বা কর্মকর্তাকে সাথে আলাপ করুন।
৩. ডকুমেন্টসগুলো তার কাছে জমা দিন।
৪. আবেদন ফরম পূরণ করুন।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা সমূহ
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা গুলো হলো ব্যবসায়িক লেনদেন স্মুথ করে। গ্রাহক এবং বিক্রেতার উভয়ের জন্য ক্রয়-বিক্রয়ের কার্যক্রমকে সহজ ও সাবলিল করেছে। নিচে কিছু ব্যসিক সুবিধার কথা তুলে ধরলাম।
১. বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে QR Code ব্যবহার করে পেমেন্ট আদান-প্রদান করা যায়।
২. পেমেন্টের বিস্তারিত তথ্য দেখা যায়।।
৩. বিকাশ অ্যাপে ব্যবসার লোগো বা নাম দেখানোর সুযোগ আছে।
৪. বিকাশ অটোমেটিক সেলস হিসাব রাখা সহজ হয়।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর চার্জ বা ফি
বিকাশ মার্চেন্টের জন্য ডিজাইন করা অ্যাকাউন্টির কিছু সুবিধা যেমন আছে তেমনই কিছু চার্জ বা ফি প্রদান করতে হয়। কেমন ফি বা চার্জ প্রদান করতে হয় তা দেখে নেয়া যাক।
১. মার্চেন্ট একাউন্টে পেমেন্ট গ্রহণ করলে কোনো চার্জ বা ফি প্রদান করার প্রয়োজন নেই। কারণ, এই অ্যাকাউন্টে এই বিশেষ ফিচারটি চালু আছে ব্যবসায়িকদের জন্য।
২. এই অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ-আউট করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ প্রযোজ্য হয়।
৩. এই অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংকে ট্রান্সেফার বা এটিএম থেকে উত্তোলন করেও নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ প্রযোজ্য হয়।
বিকাশের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত জানতে ডায়াল করুন *২৪৭#
২৪০ টাকা ফ্রী বিকাশ পেমেন্ট ২০২৪
ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট; ১০টি ট্রাস্টেড Apps
2 thoughts on “বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম! সুবিধা-অসুবিধা”