ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় আছে। এই কথাটা, আমরা অনেকেই জানি। ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায়। এটা অনেকেই জানি না। এখন, ফেসবুক থেকে সবাই আয় করতে পারবে।
Table of Contents
এতোদিন, ফেসবুক প্রফাইলের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ ছিল না। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে হতো। ফেসবুক পেজকে বিজনেস পেজ বলা হয়। বিজনেস পেজের ডিজাইন, কনটেন্ট, ইমেজ, প্রফাইল পিকচার, লোগোসহ সব কিছু বিজনেসের মতো হতে হয়।
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা। ফেসবুক সকল ব্যবহারকারীদের আয়ের সুযোগ দিচ্ছে। পেজের পাশাপাশি প্রফাইলে প্রফেশনাল মুড অন করে আয় করা যায়। কয়েকটি সেটিং ঠিক করুন। যেমন, কমেন্ট স্টেটিং। রিলস সেটিংসহ আরো অনেকগুলো।
মার্ক জার্কারবাগের পরিকল্পনা সফল করতে পারলে, ২০২৫ সালের ফেসবুক থেকে সবাই ইনকাম শুরু করবে। ফেসবুক প্রফাইলে প্রফেশনাল মুড চালু করায় ফেসবুক মানুষের ইঙ্গেমেন্ট বেড়েছে। এবার, দেখি ফেসবুক থেকে কতোভাবে আয় করা যায়।
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়-গুলোর মধ্যে প্রফেশাল কিছু মেথড আছে। যেমন; অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রয় করে ইনকাম করা। ভিডিও কনটেন্টে লোকাল পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে ইনকাম করা। ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন করে ইনকাম করা।
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়; সম্প্রতি চালু করা ফিচারগুলো থেকে নেয়া যাক।
- Stars
- Ads on Reels
- Bonuses
- In-stream ads
- Subscription
- Partnership ads
ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে, ফেসবুকের ট্রার্ম এন্ড কন্ডিশন মেনে কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ফিল-আপ করতে হবে। উপরোল্লিখিত প্রতিটি অপশন থেকে আয় করতে পারবেন। প্রতিটা অপশনের আলদা আলাদা শর্ত-পূরণ করতে হয়।
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় কনটেন্ট মনিটাইজেশন
ফেসবুক কনটেন্ট মনিটাইজেশন করিয়ে আয় করতে চাইলে, ফেসবুকের পলিসি অনুসরণ করে কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। মানতে হবে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন। কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। এবার আসুন দেখি, কোন উপায়ে ইনকাম করতে কি কি শর্ত পূরণ করত হবে।
In-stream ads/ ইন-স্ট্রিম এডস
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়। ইন-স্ট্রিম এডস হলো ফেসবুক ভিডিও চলাকালীন ভিডিওর যেকোনো অংশে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন। এই ধরণ বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম বেশি। কারণ, ভিডিও’র প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। ভিডিওতে ভিউ বেশ হয়। এডস ক্লিক পাওয়া সম্ভবনা বাড়ে। যতো বেশি এডস ক্লিক পরবে ততো বেশি ইনকাম হবে।
নিউজ ফিডের অন্যান্য অংশে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের থেকে ইন-স্ট্রিম এডস থেকে বেশি আয় হয়। এজন্য ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ইন-স্ট্রিম এডের প্রতি বেশি ঝোক থাকে।
ইন-স্ট্রিম এডস মনিটাইজেশন সবথেকে বড় মনিটাইজেশন। এই মনিটাইজেশন কিভাবে পাবেন? আসুন দেখে নেয়া যাক।
পেজে ইন-স্ট্রিম এডস চালু করতে হলে পেজে মিনিমাম দশ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। প্রফাইলে পাঁচ হাজার ফলোয়ার থাকলেই ইন-স্ট্রিম এডস চালু করার জন্য প্রাথমিক শর্ত পূরণ হবে। তবে, শর্ত থাকে যে, গত দুই মাসে দশ হাজার ঘন্টা ওয়াচ-টাইম থাকতে হবে। একইভাবে, ফেসবুক প্রফাইল থেকে টাকা আয় করা যায়।
Ads on Reels/ এডস অন রিলস
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে, ফেসবুক রিলস হলো সবথেকে সহজ উপায়। রিলস হলো এক মিনিট পঁচিশ থেকে ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিও। মেটা কর্তৃপক্ষ শর্টস ফর্মের ভিডিওকে জনপ্রিয় করতে এই পন্থা অবলম্বন করছে। রিলস ভিডিওর ইম্প্রেশন বেশি দিচ্ছে। এতে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রফাইল গ্রো করছে। ইনকামের সুযোগ বাড়ছে।
এই জন্য এখন, ফেসবুকে গেলে দেখা যায়। সবাই ফেসবুক রিলস ভিডিও আপলোড করছে। অনেকে প্রতিদিন ২-৩টি রিলস আপলোড করছে।
Stars/ স্টারস থেকে আয়
ফেসবুক স্টার থেকে আয় করছি। আপনার আশেপাশে অনেকেই করছে। আপনি কেন ফেসবুক স্টার থেকে ইনকাম করবেন না। আসলে, স্টার সেটিং করে রাখলে, এমনিতেই ইনকাম হবে।
Stars/ স্টার থেকে কিভাবে আয় হয় জানেন? আপনার কনটেন্ট পছন্দ করে কেউ যদি স্টার সেন্ড করে তাহলে, প্রতি স্টারের জন্য একটি সেন্ট পাবেন। একশত স্টার সমান একশত সেন্ট। একশত সেন্ট সমান এক ডলার। এভবে, যতো স্টার পাবেন, ততো সেন্ট পাবেন। ততো ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
Bonuses/ বোনাস
ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কথা বিবেচনা করে বোনাস দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই বোনাস আপনার সার্বিক আয় বাড়বে। যখন, ফেসবুক কমিউনিটিতে নিয়মিত পোস্ট করবেন। কমেন্টস করবেন। লাইক করবেন।
তখন, আপনাকে বোনাসের এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। আপনাকে আপনার কনটেন্টের পার্ফমেন্সের উপর ভিত্তি করে বোনাস প্রদান করা হবে।
Partnership ads/ পার্টনারশিপ এডস
পার্টনারশিপ এডস দ্বারা ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক ভিডিও’র মধ্যে থার্ড-পার্টি কোম্পানির এড চালিয়ে আয় করতে পারবেন। সেই থার্ড পার্টি কোম্পানির পণ্য প্রচার করে টাকা আয় করতে পারবেন। পার্টনারশিপ এডসের মাধ্যমে হিউজ পরিমাণ টাকা আয় করা যায়।
এছাড়া, আগেই বলেছি, ফেসবুকে মার্কেটপ্লেসে নতুন পুরাতন পণ্য বিক্রয় করে টাকা আয় করা যায়। ফেসবুকে মার্কেটপ্লেস আছে। এই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।
আবার, ফেসবুকে কোনো পণ্যের প্রচার চালিয়ে সেল বৃদ্ধি করে আয় বৃদ্ধি করা যায়। এক্ষেত্রে, নিজের পণ্য থাকলে ভালো। নিজের পণ্য না থাকলে, বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করুন। সেই পণ্যকে কিছুটা মডিফাই করুন। নতুন উপযোগ সৃষ্টি করুন।
পণ্যে নতুনত্ব নিয়ে আসুন। এবার, এই পণ্যকে বাজার সেল দিয়ে দিন। বর্তমানে, বাংলাদেশের বাজারে ফেসবুক থেকে এই পন্থায় সবথেকে বেশি আয় করে থাকে। ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়।
উপসংহার
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়। আজকে আমরা ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার প্রধান ৭টি উপায় নিয়ে আলোচনা করলাম। পোস্টটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। ফেসবুক কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি।