টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। ইনকামের কম্পিলিট গাইডলাইন!

Spread the love

বর্তমানে সবকিছু অনলাইন নির্ভর। ঘরে বসে সব কাজ করা যায়। নিজের প্রয়োজনীয় কাজ যেমন করিয়ে যায় যায়। আবার, টাকাও ইনকাম করা যায়। টাকা ইনকাম করার অ্যাপ দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। টাকা ইনকাম করতে অ্যাপসের প্রয়োজন হয় নাকি? হ্যাঁ, হয়।

তরুণ প্রজন্মের কাছে গতানুগতিক কাজের তুলনায় অনলাইনে কাজ করা বেশি জনপ্রিয়। তারা সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করতে চায় না। তারা কাজ করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে চায় না। ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করতে চায়।

ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার জন্য কোন কোন সাইট বা অ্যাপস ভালো তা জানা দরকার। কারণ, সব সাইট কাজ করে সমান টাকা পাওয়া যায় না। সব সাইট বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই, অনলাইন কাজ করার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কাজ করতে হয়।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ বলতে এমন সব অ্যাপসকে বুঝায় যেসব অ্যপসের মাধ্যমে দেশ বসে বিদেশের প্রজেক্ট কাজ করে ডলার ইনকাম করা যায়। আবার, দেশে বসে দেশের বিভিন্ন প্রজেক্ট কাজ করা যায়। টাকা ইনকাম করা যায়। উদাহরণ:- ব্লগিং হলো টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। ইউটিউব হলো বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় অ্যাপস।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর মাধ্যমে কাজ করা সহজ। মূলত, অনলাইন ইনকাম সাইটগুলো তাদের ইউজারদের কথা মাথায় রেখে এসব অ্যাপস তৈরি করেছেন। গবেষণায় দেখা যায়, তাদের বেশিরভাগ ইউজার হলো মোবাইল ফোন ইউজার।

মোবাইল ফোন দিয়ে সব কাজ স্মুথলি করা যায় না। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য অ্যাপস তৈরি করার প্রয়োজন হয়। ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখেই অনলাইন ইনকাম সাইটগুলো মোবাইল অ্যাপস তৈরি করেছেন।

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি অ্যাপস

অনলাইন কাজ করতে চাইছেন। নিয়মিত ইনকাম করতে চাইছেন। আপনার কম্পিউটার ল্যাপটপ নেই। মোবাইল আছে। কোনো সমস্যা নেই। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়। বর্তমানে অনেক অনলাইন ইনকাম সাইট মোবাইল ব্যবহার উপযোগী করে অ্যাপস তৈরি করেছেন।

এসব অ্যাপসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। আজকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নিয়ে আলোচনা করবো। এসব দিয়ে ইনকাম করতে চাইলে, আজকের পোস্টের নিচের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ফেসবুক- টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে, ফেসবুক হলো সেরা এবং জনপ্রিয় অ্যাপ। ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আট-থেকে আশি সবার ফেসবুক ব্যবহার করেন। সবার হাতে ফেসবুক থাকায় ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সুয়োগ তৈরি হচ্ছে।

ফেসবুক থেকে অনেক উপায়ে ইনকাম করা যায়। সবথেকে সহজ উপায় হলো স্টার প্রোগ্রাম। এছাড়া, ফেসবুক রিলস, ফেসবুক সাবস্ক্রিপশন, এডস অন ভিডিও, ইমেজ, এবং টেক্সট।

এছাড়া, ফেসবুকে নিজের পণ্য বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করার সুয়োগ আছে। ফেসবুক মার্কেট বলে একটি অপশন আছে। এখানে নিজের নতুন পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং করে নিজের ব্যবসাকে প্রসারিত করতে পারেন। ব্র্যান্ডের প্রচার করতে পারেন। এভাবে নিজের কোম্পানির সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ফ্রি-ফেসবুক মার্কেটিং এর জব অফার পাওয়া যায়। গিগ পাবলিশ করা যায়। এসব গিগ থেকে কাজের অফার পাওয়া যায়। এসব প্রজেক্টের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।

ইনবক্স ডলার- টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

ইনবক্স ডলারের নাম শুনেছেন? এটি হলো টাকা ইনকাম ওয়েবসাইট। এটি মূলত, মাইক্রো-জব সাইট। এখানে ছোট-খাটো অনেক কাজের সুযোগ আছে। যেমন গেম খেলে টাকা ইনকাম। সার্ভে করে টাকা ইনকাম। ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম। কেনাকাটা করে টাকা করার অফার ইত্যাদি।

বর্তমান শতাব্দীর শুরুতে ইনবক্স ডলার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কয়েক মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে সাইটটি।

সাইটটি তাদের ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করে অ্যাপস তৈরি করেছে। এই অ্যাপটি Google Play Store থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপর, একটি ইমেইল আইডি দিয়ে রেজিস্টার করুন। রেজিস্টার করার সাথে সাথে ৫ ডলার বোনাস পাবেন।

এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করা ডলার ব্যাংক একাউন্ট, পেপ্যাল, ভিসা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। ইনবক্স থেকে ডলার করার জন্য একাউন্ট ৩০ ডলার ইনকাম হতে হবে। তার নিচে হলে উত্তোলন করতে পারবেন ন।

ব্লগিং- টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

ব্লগিং হলো ক্ষুদ্র দিন পঞ্জিকা। একজন ব্যক্তি তার জীবনের প্রতিদিনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন ব্লগিংয়ের মাধ্যমে। বর্তমানে ব্লগিং এর ধরণে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন কারো জীবনের ভালো-মন্দ জানার জন্য গুগল সার্চ করে ব্লগ পড়তে আসে না। ২০১০ দিকে এমনটা হতো।

এখন হয় না। এখন মানুষ ব্লগ পড়তে আসে তথ্য জানার জন্য। এখন ব্লগ হওয়া উচতি তথ্য-নির্ভর। তাহলে, ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ব্লগিং বর্তমানে একটু চ্যালেঞ্জিং হয় গেছে।

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে হলে কি করতে হবে তার একটু ধারণা দিচ্ছে। প্রথমে একটি কাস্টম ডোমেইন বাছাই করুন। একটি হোস্টিং প্ল্যান নিন। একটি ভালোমানের থিম কিনে নিন। সাইট ডিজাইন করুন। আর্টিকেল লিখুন। নিয়মিত পাবলিশ করুন। সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করুন।

সাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করবে। ভিজিটার আসতে শুরু করলে Google AdSense এর জন্য আবেদন করুন। মনিটাইজেশন চালু করে দিবে। ব্লগার সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব- টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করতে চাইলে আপনার জন্য ইউটিউব হবে সবথেকে ভালো অপশন। অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করতে চাইছেন। অর্থ হলো আপনার কম্পিউটার নেই। মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চাইছেন।

মোবাইল দিয়ে সব করা একটু কঠিন। যেমন, ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট, ডিজাইনের কাজ। এসব কাজ মোবাইল দিয়ে করা কঠিন।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করা কঠিন নয়। বর্তমানের মোবাইলগুলোর কনফিগারেশন ভালো। ভালোমানের ভিডিও ধারণ করা যায়। এডিটও করা যায়। তাহলে, সমস্যা কোথায়। সব কাজ করা যায়। ইউটিউব অ্যাপে কাজ করে অনলাইন টাকা ইনকা করা যায়।

ইমেইল থাকলে, ইউটিউব চ্যানেল আছে। এই চ্যানেলকে প্রফেশনালি সেটিং করুন। যেমন, চ্যানেল লোগো, প্রফাইল পিকচার সেট করুন। চ্যানেল কী-ওয়ার্ড, চ্যানেল বর্ণনা লিখুন। এবার, আপনার ইউটউব চ্যানেলটি প্রফেশনালি সেটিং হয়ে গেল।

যেবিষয়ে আগ্রহ আছে সেই বিষয়ে ভিডিও ধারণ করুন। যেকোনো বিষয় হতে পারে। রান্নার ভিডিও। বিড়াল-কুকুর পালানের ভিডিও। মাছ চাষের ভিডিও। দৈন্দিন কাজের ভিডিও। টেক-ভিডিও। টিউটোরিয়াল সর্ম্পকিত ভিডিও।

ভিডিও এডিট করুন। মোবাইলে ফোনে ক্যাপকাট কাইনমাস্টারেরমতো জনপ্রিয় অ্যাপ দিয়ে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

ভিডিও আপলোড করুন। এসইও করুন। ভিডিও মার্কেটিং করুন। স্যোশাল শেয়ার করুন। ফেসবুক এড চালান। গুগল এড চালান। চ্যানেলে দশটি ভিডিও দেন। তিনমাস সময় দিন তারপর, গুগল এড রান করুন। চ্যানলে দাড়িঁয়ে যাবে।

চ্যানেলে একহাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার-হাজার ঘন্টা ওয়াচ-টাইম হলে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করুন। মনিটাইজেশনের আবেদন করুন। মনিটাইজেশন অন হয়ে গেলে ভিডিওতে এড দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

ফাইভার-ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

ফাইভার একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে ছোট-বড় জব অফার করা হয়। মূলত, ফাইভার ছোট কাজের জন্য বিখ্যাত। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপযুক্ত একটি সাইট। ফাইভারের মোবাইল অ্যাপটি বেশি জনপ্রিয়। মোবাইল দিয়েই ফাইভারে সব সময় যুক্ত থাকা যায়।

ফাইভারে মাত্র ৫-ডলার থেকে কাজ শুরু হয়। ৫-ডলারের ছোট কাজও ফাইভারে করানো হয়। এজন্যই এই সাইটের নাম ফাইভার। ফাইভ ডলার থেকেই ফাইভার।

সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ইমেইল এর প্রয়োজন হয়। মোবাইল নাম্বার লাগে। এরপর, ইউজ্যার নেম, একাউন্ট কী-ওয়ার্ড বা ট্যাগ, বর্ণনা লিখুন। একটি প্রফেশনালামানে নিজের সাম্প্রতিক তোলা ইমেজ ব্যবহার করতে হয়।

ফাইভার অ্যাকাউন্ট রেডি হয়ে গেলে গিগ পাবলিশ করা যায়। গিগ হলো কাজের প্রস্তাবনা। ফাইভারে ফ্রিল্যান্সার কি কাজ করবেন তার একটি প্রপোসাল তৈরি করেন। এটাকে গিগ বলে। গিগের মধ্যে কাজের সমস্ত কিছু থাকে।

আপনার যে বিষয়ে স্কিল আছে সেই গিগ তৈরি করুন। পাবলিশ করুন। প্রথম কাজ পাওয়া একটু কঠিন। প্রথম কাজ পেলে ৫-স্টার রেটিং নিবেন। এই ৫-স্টার রেটিং পরবর্তী কাজে আপনার প্রফাইলকে সহায়তা করবে।

আপওর্যাক-ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

আপওয়ার্ক হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। আপওর্য়াকে ফাইভারের তুলনায় বড় বড় কাজ করানো হয়। চুক্তিভিত্তিক কাজগুলো আপওর্য়াক করানো হয়। আপওর্য়াকে আওর্য়ারলি রেটে কাজ করানো।

এই সাইটে সাধারণ ফ্রিল্যান্সাররা গিগের মতো জব প্রপোজাল তৈরি করতে পারে না। এখানে বায়াররা জব প্রপোজাল বা জব পোস্ট করে। ফ্রিল্যান্সাররা জব বিড করেন। জব বিড করতে হলে জব প্রজেক্ট কিভাবে করবেন। প্রজেক্টে আপনার অভিজ্ঞতা, সমস্যা কি? কিভাবে সমাধান করবেন। কতো ডলারে সমাধান করে দিবেন এসব বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হয়।

বিড উইন করলে প্রজেক্ট শেষ করে ডেডলাইনে সাবমিট করতে হয়। সাবমিট করার সময় ক্ষেয়াল করতে হবে যেন বায়ার ৫-স্টার রেটিং দেয়। প্রথম কাজে ৫-স্টার রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিকাশ থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম

দেশীয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপ এর মধ্যে বিকাশ অন্যতম। বিকাশে সারাবছর বিভিন্ন অফার থাকে। এসব অফার নিয়ে কাজ করলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বিকাশে রিচার্জ অফার। বিকাশ অ্যাপ লিংক রেফার অফার। বোনাস অফার। পে-বিল অফার। ক্যাশ-আউট অফার। বিকাশ মাইক্রো-ফাইন্যান্সের মতো আরো অনেক অফার আছে।

বিকশ অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করুন। নিজে রেজিস্ট্রেশন করে নন-বিকাশ ইউজারকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করুন। এর জন্য আপনাকে বিকাশ অ্যাপের রেফারেল লিংক রেফার করতে হবে।

আপনার রেফার করা লিংকে থেকে নন-বিকাশ ব্যবহারকারী বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করলে আপনি বোনাস পাবেন। আবার, সেই বিকাশ একাউন্ট থেকে যখন ট্রানজেকশন করা হবে তখন আপনি বোনাস পাবেন। এভাবে, আপনি প্রতিদিন শত শত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

উপসংহার

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ আমাদের আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো জানতে ভুলবেন। জানাতে এই পোস্টের কমেন্টে কমেন্টস করুন। এছাড়াও যোগাযোক করতে করতে পারবেন। যোগাযোগ করার জন্য যোগযোগ ফরম পূরণ করু আর পাঠিয়ে দিন।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ নিয়ে আরো বিস্তারতি জানতে চাইলে আমাদের সাইটে অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ে ফেলুন। এই সাইট অনলাইন ইনকাম ট্রিপস এন্ড ট্রিকস নিয়েই তৈরি। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-বহুল পোস্ট পড়ুন।


Spread the love

Leave a Comment