ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা। ক্রেডিট কার্ড কি- জানতে চাইলে, এই পোস্টটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। Credit Card হলো ভার্চ্যূয়াল বিনিময় মাধ্যমের একটি অংশ। Credit Card এর বহুল ব্যবহার প্রচলিত আছে। আন্তর্জাতিক বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা। সার্ভিস নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এখন, আমরা ক্রেডিট কার্ড কি? কিভাবে Credit Card নেয়া যায়। এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ক্রেডিট কার্ড কি
Credit Card হলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তার সদস্যদের প্রদত্ত একটি প্ল্যাস্টিক কার্ড। এই কার্ডে একটি চিপ থাকে। চিপ ব্যবহার করে ভার্চ্যূযালি লেনদেন করা যায়। সেরা ক্রয় করা যায়। বিল পেমেন্ট করা যায়। শপিং করা যায়। ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা করা যায়।
ক্রেডিট কার্ড মূলত বিনিময়ের একটি মাধ্যম। Credit Card কার্ড হোল্ডারের আয়ের সীমা অনুযায়ী ক্রেডিট নির্ধারিত হয়ে থাকে। নির্ধারিত ক্রেডিটের বেশি খরচ করার সুয়োগ নেই। প্রতিমাসে নির্ধারিত ক্রেডিট পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন। পরের মাসের ডেটলাইনের আগেই খরচ করা ক্রেডিট পরিশোধ করতে হবে।
Credit Card হলো নগদ ক্যাশের বিকল্প। একটি ক্যাশলেস সিস্টেম ডেভেলাপ করতে চাইলে, ক্রেডিট কার্ড এর বিকল্প নেই। পকেটে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে শপিংয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে সমাধান দেয় Credit Card ।
ওয়ালেটে Credit Card নিয়ে যাবেন। নিদির্ষ্ট Credit Card সীমা পর্যন্ত খরচ করবেন। কোনো সমস্যা নেই। পরের মাসে খরচ করা টাকা পরিশোধ করতে হবে। নিদির্ষ্ট তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ডেডলাইন অতিক্রম করলে, উচ্চহারে সুদ পরিশোধ করতে হবে।
যেহেতু, এটি একটি ভার্চ্যূয়াল কার্ড সেহেতু, এই কার্ড ডিজিটাল ওয়ালেটে ব্যবহার করে স্মার্টফোন এর সাহায্যে শপিং করা যায়। আপনার আশেপাশে নির্ধারিত ATM বুথ থেকে Credit Card সাহায্যে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। সাধারণত, Credit Card ১৬ ডিজিটের একটি ইউনিক নাম্বার দেয়া থাকে।
Credit Card মেয়াদ থাকে। ব্যবহারকারীর নাম দেয়া থাকে। CVC Number থাকে। একটি পার্সওয়ার্ড সেট করা থাকে। সেই পাসওয়ার্ডকে রি-সেট করতে হবে। একটি স্ট্রং পার্সওয়ার্ড দিতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো
Credit Card কি/ কিভাবে বানাবো Credit Card ? Credit Card বিশ্বব্যাপী হলো VISA Card and MASTER CARD
ক্রেডিট কার্ড তৈরির ইচ্ছা আপনার আছে। Credit Card সর্ম্পকে জানতে চান। তাই, এই পোস্ট পড়ছেন। এখানে সহজে কয়েকটি ধাপ উল্লেখ করছি। এই কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে একটি ক্রেডিট কার্ড বানাতে পারবেন। আসুন দেখে নিই- কিভাবে Credit Card বানানো যায়।
প্রথমেই বলে রাখি, সবাই ক্রেডিট কাড পাবেন না। আপনি, Credit Card পাওয়ার যোগ্য না হলে মন খারাপ করার কিছু নেই। কারণ, একটি Credit Card চালানো সহজ নয়। ব্যয়বহুল ব্যাপার। তাই, যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের ক্রেডিট কার্ড বানানো উচিৎ।
আপনার ডুয়েল কারেন্সির প্রয়োজন হলে, ডেভিট কার্ড ব্যবহার করুন। ডেভিট কার্ড সবাই নিতে পারেন। ডেভিট কার্ডের তেমন কোনো কঠিন শর্ত নেই।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
এবার আসুন, দেখে নিই- Credit Card বানানোর কি কি যোগ্যতা বা শর্ত আছে। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা।
যে ব্যাংকের Credit Card নিতে চান, সেই ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। Credit Card নেয়ার অনন্ত এক বছর আগেই খুলতে হবে অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট নিয়মিত ট্যানজেকশন করতে হবে।
ব্যবসায় হলে;
- জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
- দুই কপি সদ্য-তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি থাকতে হবে।
- ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- গত একবছরে দশ লক্ষ টাকা লেনদেনের রেকর্ড থাকতে হব।
- রেফারেন্স থাকতে হবে।
চাকুরিজীবী হলে;
- চাকুরিজীবীদের মাসিক বেতন হতে হবে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি।
- চাকুরিতে যোগদানের বয়স ছয় মাসের বেশি হতে হবে।
- বিগত ৬ মাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ দিতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
- দুই কপি সদ্য-তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি থাকতে হবে।
- TIN Number থাকতে হবে। এবং রির্টান জমা দিতে হবে।
- ক্ষেত্র বিশেষ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলের কপি চাইতে পারে। এসব কাগজ থাকলে,Credit Card এর জন্য আবেদন করুন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
Credit Card কি–ভাবে ব্যবহার করবেন। আপনার কাছে মনে হতে পারে ব্যবহার করা আবার এমন কি? Credit Card পাওয়ার থেকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি সর্তক হওয়া উচিৎ। কারণ, Credit Card এর উল্টাপাল্টা ব্যবহারের ফলে আপনার উপকার থেকে অপকার বেশি হবে।
Credit Cardতৈরি করার সময় একটি পিন কোড সেট করা থাকে। প্রথম কাজ হলো প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারের নাম্বারে কল দিয়ে পিন কোড রি-সেট করে নেয়া।
Credit Card তৈরির ৭২ ঘন্টার মধ্যে কার্ড এক্টিভ হয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে কার্ড টি সচল না হলে কল সেন্টারে যোগাযোগ করুন। কোনো সমস্যা হলে সমাধান করে দিবে। কার্ড ব্যবাহা করতে পারবেন।
Credit Card দিয়ে যেকোনো ATM বুথ থেকে টাকা তোলা যায়। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনার কার্ডের পিন নাম্বার প্রয়োজন হয়। তাই, পিন নাম্বার কখনো কারো সাথে শেয়ার করবেন না। যেন ভুলে না যান সেই জন্য বাসায় ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন।
প্রতিমাসে, আপনার ক্রেডিট কতো তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে জেনে নিবেন। সেই অনুযাযী ব্যবহার করুন। যতো টাকা খরচ করবেন পরের মাসে ততো টাকা পরিশোধ করুন। ডেডলাইনের আগে পরিশোধ করুন। ডেডলাইন অতিক্রম করলে, আপনাকে উচ্চহারে সুদ দিতে হবে। ডেডলাইনের আগে পরিশোধ করলে এক পয়সায় পরিশোধ করতে হবে না।
ক্রেডিট কার্ড খরচ
ক্রেডিট কার্ড কি? ক্রেডিট কার্ডে খরচ কেমন? এসব জেনে ক্রেডিট করা উচিৎ। অনেক ব্যাংক, এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের Credit Card হিডেন চার্জ থাকে। তাই, সবধরণের চাজ সর্ম্পকে অবগত হয়ে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করুন।
সাধারণত, সব ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের জন্য কমন কিছু খরচ কেটে নেয়। যেমন, Credit Card তৈরির খরচ। ছয়মাসের জন্য/একবছরের জন্য নেয় এসএমএস চার্জ। অনলাইন সার্ভিস চাজ। এরকম আরো অনেক চার্জ আছে। যে ব্যাংক থেকে Credit Card নিতে চান, সেই ব্যাংকের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।
এখন সব ব্যাংক তাদের ওয়েব সাইটে বিস্তারিত দিয়ে দেয়। সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। আবার, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারবেন।
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো
ক্রেডিট কার্ড কি। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা। কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। এসব ভালোভাবে জানতে হবে। তবেই, সঠিক Credit Card টি ব্যবহার করতে পারবেন। আপানার অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।
আসুন দেখা যাক কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। ব্যবহার ক্রেডিট কার্ডের খরছ। সুযোগ-সুবিধা সব কিছু বিবেচনা করে কোনো একটি ব্যাংকের Credit Card কে ভালো বলা ঠিক হবে না। কারণ, দেশের বেশ কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড ভালো করছে যেমন;
- ইবিএল (ইস্টার্ন ব্যাংক লি:) পিএলসি Credit Card
- বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লি: পিএলসি Credit Card
- এমটিবি (মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি:) পিএলসি Credit Card
- ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লি: পিএলসি Credit Card
- যমুনা ব্যাংক লি: পিএলসি Credit Card
উপসংহার
আপনি Credit Card করতে চাইলে, আপনার Credit Card কি সেটা জানা প্রয়োজন ছিল। সেটা জানতে পারেছেন। ইনকাম যথেষ্ট না থাকলে, ক্রেডিট করার দরকার নেই।
আসলে, আপনার কি প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ করুন। Credit Card নাকি ডুয়েল কারেন্সি। যদি ডুয়েল কারেন্সি প্রয়োজন হয়। ডেভিড কার্ড করুন। ডেভিড কার্ডে তেমন ঝামেলা নেই। ব্যাংকের সকল সদস্যই ডেভিড কার্ড নিতে পারে।
ডেভিড কার্ডও ডুয়েল কারেন্সিযুক্ত। আমার আছে। ইবিএল এর একটি ডেভিড কার্ড। ডলার লেনদেন করতে পারি। কোনো সমস্যা হয় না। গুগল এড এর বিজ্ঞাপন। ফেসবুক এর এড ক্যাম্পেইন সব কাজ করা যায়।
যাইহোক, আর লিখা না বাড়াই। আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো। এমনই আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের সাইটের অন্যান্য পোস্ট পড়ুন।
,Hi