ক্রেডিট কার্ড কি! ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি কি

ক্রেডিট কার্ড কি? ক্রেডিট কার্ড হলো একটি প্লাসিক চিপ কার্ড। ক্রেডিট কার্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করেছে। প্রতিদিনের কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে। নগদ টাকা পকেটে নিয়ে বেড়ানোর বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিয়েছে ক্রেডিট কার্ড।

প্রতিদিন মানুষের শপিংকে আরো সহজ করতে বিভিন্ন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করছে। ক্রেডিট কার্ড দেয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরের তুলনায় এবছর ক্রেডিড কার্ডের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে।

ক্রেডিট কার্ড কি

ক্রেডিট কার্ড হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তার সদস্যদের ক্রেডিট প্রদান করার একটি ব্যবস্থা। যার দ্বারা গ্রাহকদের প্ল্যাস্টিক চিপ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট প্রদান করা হয়। গ্রাহকরা শপিং, পে বিল প্রদানসহ যাবতীয় কাজে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

 গ্রাহকদের ক্রেডিট লিমিট আছে। সব গ্রাহকের ক্রেডিট লিমিট এক নয়। এক এক জন গ্রাহকের ক্রেডিট লিমিট এক এক রকম হয়। গ্রাহকের ক্রেডিট লিমিট নির্ভর করে তার আয়ের উপর। তার খরচ করার ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে।

ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড কি

ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের সদস্যদের ক্রেডিট কার্ড প্রদানকরে। সকল সদস্য ক্রেডিট কার্ড পায় না। জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলেই ব্যাংকের সদস্য হতে পারবেন। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে শর্ত পূরণ করতে হয়।

একজন সদস্যের নিম্নতম ইনকাম কতোটাকা। প্রতিমাসে তার খরচ কতোটাকা। তার লেনদেনের ইতিহাসের উপর নির্ভর করে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয়।

বর্তমান বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ড সাভিস প্রতিষ্ঠান হলো Visa Card and Master Card

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে কাজ করে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহককে লোন সুবিধা দেয়া হয়। গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকলেও খরচ করতে পারেন। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের হয়ে বিল পরিশোধ করে। এই বিল ব্যাংক গ্রাহককে লোন হিসেবে দেয়।

পরের মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বা তার পূর্বে পরিশোধ করলে, সুদ প্রদান করতে হয় না। কিন্তু, নির্দিষ্ট তারিখের পরে বিল পরিশোধ করতে গেলে অনেক সুদ পরিশোধ করতে হয়। তাই, নির্দষ্ট তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ করুন।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিৎ। শপিং গেলেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করা এড়িয়ে চলা উচিৎ। যখন অত্যন্ত প্রয়োজন হয় তখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। যা বিল হবে পরের মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বিল পরিশোধ করে দিবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হয়। এসব এড ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট মেথডে ক্রেডিট কার্ড যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চত করা যায়।

বিভিন্ন ধরণের ক্রেডিট কার্ড

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরণের ক্রেডিট কার্ড দেখতে পাবেন। যেমন, প্ল্যাটিনাম ক্রেডিট কার্ড। সিগন্যাচার ক্রেডিট কার্ড। মাইল ক্রেডিট কার্ড। মুভি কার্ড। ফুয়েল কার্ড। লাইফ স্টাইল কার্ড। এরকম আরো অনেক ক্রেডিট কার্ড দেখতে পাবেন।

এক-একটি ক্রেডিট কার্ডের এক-একটি বৈশিষ্ট্র্য আছে। সব ক্রেডিট কার্ড সব গ্রাহককে দেয়া হয় না। প্রতিটি ক্রেডিট পাওয়ার যোগ্যতা আলাদা। যদিও সবগুলোর ব্যসিক কিছু যোগ্যতা আছে। ব্যসিক যোগ্যতা এবং নির্দিষ্ট কার্ডের শর্ত পূরণ করে সেই ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা লাগে? হ্যাঁ, অবশ্যই যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। ক্রেডিট কার্ড নেয়ার শর্ত পূরণ না হলে মাথা কুটলেও ক্রেডিট পাবেন না।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার ব্যসিক শর্তগুলো হলো জাতায় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। ব্যাংকের সদস্য হতে হবে। একজন গ্যারান্টার লাগবে। ১৮ বছরের বেশি বয়স হতে হবে। দেশের আবাসিক হতে হবে। তবে, কিছু কিছু ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের বিবেচনা করা হয়।

আপনার মাসিক ইনকাম কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। বাৎসরিক ইনকাম তিন লক্ষ টাকার বেশি হতে হবে। এসব যোগ্যতা থাকলে আপনি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন।

উপসংহার:

ক্রেডিট কার্ড কি? এটার সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। ক্রেডিট কার্ড হলো একটি প্ল্যাস্টিক চিপ কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে জীবন সহজ স্বাভাবিক হয়। যে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে চান সেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নেয়ার শর্তগুলো জেনে নিবেন।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার অর্থ আপনার ইনকাম বাড়েনি। বরং আপনার ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। যাইহোক, আপনার মাসিক ইনকাম ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে ক্রেডিট কার্ডের নিতে পারবেন। আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Comment

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial