অনলাইন টাকা ইনকাম

Spread the love

অনলাইন টাকা ইনকাম সর্ম্পকে জানতে চান। কেন জানতে চান? কারণ, অনলাইন টাকা ইনকাম করতে চান। ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার স্কিল অর্জন করতে হবে।

কিভাবে স্কিল অর্জন করা যায়। কিভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। এসব নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অনলাইন করে টাকা ইনকাম করছে। জেন-জি’র কাছে অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং স্বপ্নের মতো। সময়ের পরিবর্তনে পেশা এখন ডিজিটাল নির্ভর। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়্ তাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু।

অনলাইন টাকা ইনকাম

অনলাইন টাকা ইনকাম বলতে আসলে কি বুঝায়? অনলাইন টাকা ইনকাম বলতে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়াকে বুঝায়। অর্থাৎ, এমন কাজ করে ইনকাম করা যেসব কাজ ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে অনলাইন মাধ্যমে করতে হয়।

অনলাইন টাকা ইনকাম
অনলাইন টাকা ইনকাম

অনলাইন টাকা ইনকাম এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ করে টাকা ইনকাম। এছাড়া, আরো কিছু অনলাইনে টাকা ইনকাম এর উদাহরণ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম। ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম।

অনলাইন টাকা ইনকাম করতে হলে অনলাইন ভিত্তিক কাজ জানতে হবে। সেই কাজ অনলাইনে করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কাজ না জানলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

অনলাইন টাকা ইনকাম এর স্কিল

অনলাইনে কাজ করতে চাইলে স্কিল অর্জন করতে হবে। এবার, কথা হলো কোন স্কিল অর্জন করবেন? যেসব স্কিল দিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায় এমন স্কিল। না, এমন স্কিল অর্জন করতে চেষ্টা করবেন না। আমার প্রথম পরামর্শ হলো এমন স্কিল অর্জন করুন যেসব স্কিলে আপনার আগ্রহ আছে।

মনেকরি, আপনার আগ্রহ আছে লোগো ডিজাইনে। আপনি শিখতে শুরু করলেন ওয়েব ডিজাইন তাহলে, বেশিদনি আগ্রহ ধরে রাখতে পারবেন না। আপনার আগ্রহ ভিডিও তৈরিতে আপনি শুরু করলেন ব্লগিং তাহলে, আপনার ক্যারিয়ার বেশিদূর আগাবে না।

এজন্য আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুর আপনার কিসে আগ্রহ আছে। কোন কাজ করতে আপনি মজা পান। সেই কাজ করতে মজা পান সেই কাজই করতে থাকুন। যেকোনো কাজই হতে পারে। সব কাজের অর্থনৈতিক মূল্য আছে। বিশ্ব এখন একটি গ্রামের মতো।

ম্যাকলুহানের বিশ্ব গ্রাম তত্তের কথা জানেন তো। সারা বিশ্ব এখন একটি গ্রামের মতো। আপনার যে কাজে আগ্রহ আছে সেই কাজের চাহিদা একটি দেশে না থাকলেও আরেকটি দেশে ঠিকই আছে। তাই, টেনশন না করে নিজের আগ্রহে লেগে থাকুন। নিজের স্বপ্নের পেছনে পড়ে থাকুন।

অনলাইন টাকা ইনকাম করার জন্য যেসব স্কিল আগামী কয়েক বছর ভালো করবে সেগুলোর একটি তালিকা আমি আমাদের জন্য এখানে দিয়ে রাখছি। এখানে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

অনলাইন টাকা ইনকাম ট্রেন্ডি স্কিলস

  • এআই/ চ্যাটজিপিটি;
  • ইথিক্যাল হ্যাকি*;
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন);
  • ডিজিটাল মার্কেটিং;
  • ফেসবুক মার্কেটিং/ ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েশন
  • ইউটিউব ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েশন
  • ব্লগিং করে ইনকাম
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন;
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট

অনলাইন কাজ করে টাকা ইনকাম করার মতো ৫টি স্কিল

অনলাইন টাকা ইনকাম করতে চাইলে আমাদের দেখানো উপরের যেকোনো একটি স্কিল ভালো করে আয়ত্ব করতে পারলে নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে, অবশ্যই অনলাইনভিত্তিক একটি স্কিল অর্জন করুন।

আমরা অনলাইনভিত্তিক পাঁচটি ট্রেন্ডিং স্কিল নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম। এই স্কিলগুলো একবার পড়ে দেখুন। আপনি কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন। যা আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।

ব্লগিং করে অনলাইন টাকা ইনকাম

ব্লগিং কথাটি অর্থ হলো ক্ষুদ্র দিনপঞ্জি। প্রতিদিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা লিখে প্রকাশ করার মাধ্যম হলো ব্লগার। যারা ব্লগ লিখে প্রকাশ করেন তাদেরকে বলে ব্লগার।

তবে, ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তন এসেছ। এখন মানুষ কারো জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাবলী জানতে ব্লগ পড়তে আসে না। তথ্য পেতে ব্লগে আসে। মানুষ বিভিন্ন বিষয় জানতে Google সার্চ করে ব্লগে আসে।

ব্লগে যখন নিয়মিত ভিজিটর আসবে তখন ব্লগ সাইটকে মনিটাইজেশন করিয়ে ইনকাম করা যায়। আরেকটু বিস্তারিত লিখি। প্রথমে কিছু টাকা খরচ করলে আপনার জন্য কাজটা সহজ হবে।

সম্পূর্ণ ফ্রিতেও শুরু করা যায়। টাকাও ইনকাম করা যায়। সেটা নতুনদের পক্ষে সম্ভব না। কেন সম্ভব না? কারণ, আর্টিকেল তথ্য এবং এসইও-সমৃদ্ধ হতে হয়। নিশ বাছাই করে আর্টিকেল লিখতে হয়। সাইটের ডিজাইন সুন্দর হতে হয়। আরো অনেক বিষয় আছে। তাই, প্রথমে কিছু টাকা খরচ করুন।

একটি কাস্টম ডোমেইন কিনুন। একটি হোস্টিং প্ল্যান নিন। সুন্দর একটি থিম ক্রয় করুন। থিমকে আপনার পছন্দমতো রি-ডিজাইন করে নিন। কাজ শেষ। এবার, পোস্ট পাবলিশ করার পালা। নিয়মিত কিছু দিন পোস্ট করুন। সাইটের ব্যাকলিং তৈরি করুন।

সাইট গুগল সার্চে চলে আসবে। নিয়মিত ভিজিটর আসলে, তখন Google AdSense এর জন্য আবেদন করুন। এপ্রুভ হয়ে গেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক মনিটাইজেশন

অনলাইন টাকা ইনকাম করতে চাইলে, সবথেকে সহজ উপায় হলো ফেসবুক। ফেসবুক প্রফাইলে থেকে সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক প্রফাইল থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে প্রফেশনাল মুড চালু করে নিতে হবে।

মেটা তাদের আপডেট দিয়ে জানিয়েছে ফেসবুক প্রফাইল থেকেও টাকা ইনকাম করা যাবে। কনটেন্ট মনিটাইজেশন হলো সবথেকে বড় মনিটাইজেশন। ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পেলে অন্যগুলোও পাবেন।

রিলস থেকে অনলাইন টাকা ইনকাম করা খুব সহজ। এক মিনিট পঁচিশ সেকেন্ড থেকে ছোট ভিডিওগুলো রিলিস হিসেবে আপলোড করা যায়। রিলস ভিডিওর Engagement বেশি হয়।

দ্রুত ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা বেশি। অনলাইনে থেকে দ্রুত টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও, ফেসবুক স্টারস, সাবস্ক্রিপশন, বোনাসের মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ আছে।

ইউটিউব ভিডিও মনিটাইজেশন

অনলাইন টাকা ইনকাম করার অন্যতম সেরা উপায় হলো ইউটিউব ভিডিও মনিটাইজেশন। ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাওয়া মানে সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। মনিটাইজেশন থ্রেসহোল্ড সহজ নয়। যেনতেনভাবে কারো পক্ষে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া সম্ভব নয়।

সহজে মনিটাইজেশন পাওয়ার উপায় হলো ইউনিক ভিডিও তৈর করা। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা। ইউটিউব এলগ্যারিদম বুঝা। তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে ভিডিও আপলোড করা। তাহলে, সহজেই ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করানো সম্ভব।

যারা অনলাইনে কাজ করতে চান, তারা ইউটিউবিং করতে পারেন। চ্যানেল মনিটাইজেশন করাতে পারলে, অনেক উপায়ে ইনকাম করা সম্ভব। গুগল এডসেন্স থেকে। পার্টনারশিপ এডস থেকে। স্পন্সড ভিডিও থেকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। ব্র্যান্ড কোলা-বোরেশন করে।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন

অনলাইন টাকা ইনকাম করাকে পেশা হিসেবে নিতে চাইলে এই কাজ শেখা উচিৎ। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনের মতো কাজ। কারণ, দিন দিন থিম কাস্টমাইজেশনের চাহিদা বাড়ছে। থিম কাস্টমাইজারদের চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।

একজন থিম কাস্টমাইজারের বেতন অনেক। আবার, চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে চাইলেও প্রতিটি থিম কাস্টমাইজেশন করার জন্য ৩০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করা হয়। আবার, ক্ষেত্র বিশেষ ১০০০ ডলার চার্জ করা হয়।

থিম কাস্টমাইজেশন কাজের প্র্যাকটিস করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম-এ গিয়ে ফ্রি-থিম ব্যবহার করুন। এগুলো যতো ইচ্ছা কাস্টমাইজেশন করুন। থিম কাস্টমাইজেশনের কাজ পাবেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে। ফাইভার এবং আপওর্য়াকে থিম কাস্টমাইজেশনের প্রচুর কাজ আছে।

আর্টিকেল রাইটিং

অনলাইন টাকা ইনকাম করতে চাইলে আর্টিকেল রাইটিং শুরু করুন। আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে। কারণ, সৃজনশীলতাছাড়া লিখালিখিতে ভালো করা যায় না। ভালো লিখতে না পারলে আপনার লিখার কোনো মূল্য নেই। ইনকামও নেই।

আর্টিকেল রাইটিং ভালো করতে হলো নিয়মিত আর্টিকেল ব্লগ পোস্ট বই পড়তে হবে। পড়ার কোনো বিকল্প নেই। যতো বেশি পড়বেন, ততো বেশি শিখবেন।

নিয়মিত চর্চা করা। আর্টিকেল লেখার ব্যসিক জিনিসগুলো শিখে নিতে পারলে, আর্টিকেল লিখায় ভালো করা যায়। প্রাথমিক জিনিসগুলো আয়ত্ব করে নিজের পছন্দের বিষয়ে লিখতে পারলে আরো ভালো হয়।

যেমন, আপনার শখ বাগান করা। বাগান করার নিয়ে লিখতে পারেন। ঘুরতে পছন্দ করেন। ভ্রমণ গাইড নিয়ে লিখতে পারেন। কুকুর বিড়াল পালাতে পছন্দ করেন। এগুলো নিয়েও লিখতে পারেন।

এবার, কথা হলো বাংলায় লিখলে ইনকাম কম হবে। ইংরেজিতে লিখতে পারলে ইনকাম বেশি হবে। ইনকাম কম-বেশি হলো। আসল কথা বলা হয় নি। আর্টিকেল লিখে ইনকাম হবে কিভাবে? আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার কয়েকটি উপায় আছে।

  • এক. নিজের ব্লগ সাইট ওয়েব সাইট তৈরি করে ইনকাম করা;
  • দুই. আর্টিকেল বিক্রয় করার সাইটে আর্টিকেল বিক্রয় করে ইনকাম;
  • তিন. গেস্ট পোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম;

উপসংহার

অনলাইন টাকা ইনকাম এর অনেকগুলো ট্রেন্ডিং উপায় নিয়ে আলোচনা করলাম। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে ট্রেন্ডকে বুঝতে হবে। ট্রেন্ডিং ট্রপিকে ভিডিও তৈর করুন। ট্রেন্ডিং ট্রপিকে আর্টিকেল লিখুন ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।

যাইহোক, আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সফল হোক। এই প্রত্যাশায় আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।


Spread the love

Leave a Comment